মাগুরা জেলার চারটি উপজেলাড চাষিরা বুক বেঁধে আছে কলার কাধির উপর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে, এ বছর ৩৫ কোটি টাকার কলার ফলন হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ঘূর্ণিঝড় আম্পানে জেলার কলা গাছের ব্যাপক ক্ষতির পরেও যা রয়েছে তাতে চাষিরা লাভবান হবে এবং পুষিয়ে নিতে পারবেন আম্পানের ক্ষতি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সূত্রে জানা যায়, এবার জেলায় ৭৫০ হেক্টর জমিতে কলার চাষ করা হয়েছে, এরমধ্যে মাগুরা সদর উপজেলায় ৩৮৫ হেক্টর, শ্রীপুরে ২৯৫ হেক্টর, মোহাম্মদপুর, ৪০ হেক্টর ও শালিখা উপজেলায় ৩০ হেক্টর জমিতে কলার চাষ করা হয়েছে।

কমলাপুর গ্রামের কলা চাষি রবিউল ইসলাম জানান, এবার সে ৩৩ শতাংশ জমিতে কলা চাষ করেছে গাছে অল্প কিছুদিনের মধ্যে কলা ধরবে।প্রতি শতাংশ জমিতে সাতটি করে, ৩৩ শতাংশ জমিতে মোট ২৩১টি গাছ লাগিয়েছে।

প্রতিটি গাছের জন্য তার খরচ হয়েছে ৮০ টাকা তাতে এক বিঘায় সর্বমোট খরচ হয়েছে ১৯ হাজার টাকা। সব কিছু ঠিক থাকলে প্রতি কাধি কলা গড়ে ২শ থেকে ২৫০ টাকা দরে বিক্রি করলে তাতে ৪৫ থেকে ৬০ হাজার টাকা বিক্রি হবে।

সদরের আঠারোখাদা গ্রামের কৃষক একেন আলী জানান, আমি এবার এক একর জমিতে কলা চাষ করেছি আমার সর্বমোট খরচ হয়েছে ৬০ হাজার টাকা সবকিছু ঠিক ঠাক থাকলে এই কলা বিক্রি হবে এক লাখ ৮০ হাজার থেকে প্রায় দুই লাখ টাকা।

মাগুরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুশান্ত কুমার পরামাণিক জানান, বর্তমানে কলা চাষে লাভ বেশি হওয়ায় জেলার চাষিরা কলা চাষের দিকে ঝুঁকে পড়ছে।

এ অঞ্চলের মাটি এবং আবহাওয়া দুটোই কলা চাষের জন্য উপযুক্ত। শুধুমাত্র প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকলে এ বছর কলার বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা ছিলো। ইতিমধ্যে কলাচাষিদের সঠিক পরামর্শসহ যখন যে সরকারি প্রণোদনা আসেছে তা দেয়া হয়েছ বলেও জানান এ কৃষি কর্মকর্তা।