দেশে এবং বিদেশে তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশের উপন্যাস এবং কবিতা নিয়ে অনেক লেখক-লেখিকা। এইসব উপন্যাস এবং কবিতা লেখকদের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন বিষয়ে ফুটে উঠছে এবং সচেতনতা বৃদ্ধি হচ্ছে ব্যাপকভাবে। এইসব দেশ প্রেমিক লেখকদের নিয়েই আমাদের নবদেশ পত্রিকার আজকের আয়োজন। আমাদের সাথে আজকের অতিথি জনপ্রিয় উপন্যাস এবং কবিতা লেখক সোনিয়া সাঈম লিটু।
একনজরে দেখে নিন লেখক সোনিয়া সাঈম এর পরিচিতি:
লেখক সোনিয়া সাঈম লিটু ১৯৮১ সালের ২২ জানুয়ারি বরিশাল জেলার উজিরপুর থানায় জন্মগ্রহণ করেন। ব্রজমোহন বিশ্ববিদ্যালয় (বরিশাল) থেকে বাংলায় মাস্টার্স সম্পন্ন করে চলে যান প্রবাসে। দেশ প্রেমিক এই লেখক কে প্রবাসের উন্নত জীবন বেশি দিন আটকে রাখতে পারেনি বাংলাদেশের মায়া থেকে। তিনি চলে আসেন দেশে এবং নিয়মিত লেখালেখি শুরু করেন। বাংলা সাহিত্য অঙ্গনে নতুন এই লেখকের বিস্ময়কর আবির্ভাব। তার লেখার মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরছে প্রতিনিয়ত।
নবদেশ পত্রিকার সাথে একান্ত আলাপচারিতা সময় তাকে প্রশ্ন করা হয় কেন তরুনদেরকে উপন্যাস এবং কবিতার বই পড়তে হবে?
প্রশ্নের উত্তরে লেখক বলেন- বই মানুষের চিন্তাকে প্রসারিত করে মুক্ত করে। বই মানুষকে শুদ্ধ হতে শেখায়। মানুষের একাকীত্বতা দূর করে। আর কবিতা না পড়লে মানুষের ভেতরের সুপ্ত আত্মা জাগ্রত হয় না। মানুষ সুন্দরের প্রতি ধাবিত হয়। যে কবিতা পড়ে না সে পৃথিবীর অনেক বড় ধরনের সুন্দর জিনিস থেকে বন্চিত হয়। সে অবশ্যই সুন্দর চিন্তা করতে পারে না এবং সে ভালোবাসতেও পারে না। আর এসব উপাদানগুলি তরুনদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। তাই তরুনদের গল্প উপন্যাস পড়তে হবে। না পড়ার কোন সুযোগ নেই।
সমাজ পরিবর্তনের চেষ্টায় থাকা এই সমাজ কারিগর এরই মধ্যে তার আটটি উপন্যাস ও একটি কবিতা বই প্রকাশিত হয়েছে এবং তার প্রকাশিত বইগুলো ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা লাভ করেছে। তিনি সুচিন্তিত, ধারালো এবং আধুনিক লেখনীর মাধ্যমে অতি দ্রুত পাঠকের হৃদয়ে স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছেন।
ব্যক্তি জীবনে তিনি দুই কন্যা সন্তানের জননী, এড়িশা এবং মাইশা। তার লেখার মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তনের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
উপন্যাসের পাশাপাশি কবিতার মাধ্যমেও তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়। তিনি তাঁর লেখায় মানবিক প্রেম,ভালোবাসা এবং মুক্ত চিন্তার বিষয় গুলো সুনিপুণ ভাবে তুলে ধরেছেন, যা পাঠকদের হৃদয় আলোড়ন তুলবে এবং দেশপ্রেমের মাধ্যমে জাতি আরো এগিয়ে যাবে বলে লেখক বিশ্বাস করেন।