বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে সতীর্থ খেলোয়াড়কে মারতে উদ্যত হওয়ায় মুশফিকুর রাহিমকে শাস্তি দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ জরিমানা ও ১টি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ করা হয়েছে তার আচরণবিধিতে। তার বিরুদ্ধে আচরণ বিধি ভঙ্গের রিপোর্ট করেছেন অনফিল্ড আম্পায়ার গাজী সোহেল, মাহফুজুর রহমান, তৃতীয় আম্পায়ার মাসুদুল রহমান মুকুল ও চতুর্থ আম্পায়ার মুজাহিদুজ্জামান।

আর শাস্তি ঘোষণা করেছেন ম্যাচ রেফারি রকিবুল হাসান। মুশফিক নিজের দোষ স্বীকার করে নেওয়ায় আর আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন হয়নি। এর আগে বরিশালের ইনিংসের ১৩তম ওভারে। নাসুমকে বিশাল ছক্কা মেরেছিলেন আফিফ। নাসুমের ছক্কা খাওয়াতে মুশফিক ছিলেন বিরক্ত। পরের বলেই আফিফ মিডউইকেটে বল ঠেলে সিঙ্গেল নিয়েছেন।

তখন নিজের পজিশন ছেড়ে বোলিং কুড়িয়ে আনতে যান নাসুম ও মুশফিক। তখন বলটি হাতে তুলে নিয়েছিলেন মুশফিক-ই, কিন্তু উত্তেজিত মুশফিক বল হাতে নিয়ে উইকেটে না মেরে প্রথমে নাসুমকে মারার জন্য উদ্যত হন। পরের ঘটনা ১৭তম ওভারে। শফিকুলের বলে আফিফ স্কয়ার লেগে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন। সেটি ধরতে উইকেটের পেছন থেকেই ছুটে যান মুশফিক। ওই ক্যাচ ধরতে ছুটছিলেন নাসুমও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নাসুম দাঁড়িয়ে থেকে মুশফিককে ক্যাচ নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। আফিফের ক্যাচ ধরে মুশফিক ফের একই ভঙ্গিতে নাসুমকে মারার জন্য উদ্যত হয়েছিলেন।

তখন স্বাভাবিকভাবেই অধিনায়কের কাছ থেকে এমন আচরণ পেয়ে বিস্মিত ছিলেন নাসুম। উইকেট পেয়ে যেখানে উল্লাস করার কথা, উল্টো নাসুম পেলেন ‘অপ্রত্যাশিত’ আচরণ। যা ক্রিকেটের চেতনার সঙ্গে বড্ড বেমানান। অবশ্য এলিমেনেটর ম্যাচে কেবল নাসুমের সঙ্গেই মুশফিক এমন আচরণ করেননি। পুরো ম্যাচ জুড়েই উইকেটের পেছন থেকে বাজে আচরণ করতে দেখা গেছে তাকে।