নিজেকে ও পরিবারকে সুস্থ রাখতে হাত ধোয়ার অভ্যাস করতে হবে ছোট-বড় সবার। সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার মাধ্যমে শারীরিক সুস্থতা খুব সহজেই নিশ্চিত করা যায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, শ্বাসযন্ত্র ও ডায়রিয়ার সংক্রমণসহ বিভিন্ন গুরুতর রোগের বিস্তার রোধ করা যায় হাত ধোয়ার মাধ্যমে।

আসলে জীবাণু ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে বা পৃষ্ঠ থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে খুব সহজেই। এজন্য চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করার আগে হাত পরিষ্কার আছে কি না তা নিশ্চিত করুন।

তবে ঠিক কোন কোন কাজের আগে পরে হাত ধোয়া উচিত ও কীভাবে সঠিকভাবে হাত ধুতে হবে তা অনেকেরিই জানা নেই।

চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক এ বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় জনস্বাস্থ্য সংস্থা ‘রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র’ (সিডিসি) কী পরামর্শ দিয়েছে-

কখন হাত ধোবেন?

>>খাবার তৈরির আগে ও পরে
>> খাবার খাওয়ার আগে ও পরে
>> বমি বা ডায়রিয়ায় অসুস্থ এমন রোগীর যত্ন নেওয়ার আগে ও পরে
>> কাটা বা ক্ষত চিকিৎসার আগে ও পরে
>> টয়লেট ব্যবহারের পর
>> ডায়াপার পরিবর্তনের পর বা টয়লেট ব্যবহার করা শিশুকে পরিষ্কার করার পর
>> নাক পরিষ্কারের সময়, কাশি বা হাঁচির সময় মুখে হাত দিলে
>> প্রাণীকে সংস্পর্শ করলে বা তাদেরকে খাওয়ানো ও বর্জ্য পরিষ্কারের পর
>> আবর্জনা স্পর্শ করার পর
>> চোখ, নাক বা মুখ স্পর্শ করার আগে
>> মাস্ক স্পর্শ করার পরে
>> জনবহুল স্থান থেকে ফিরে

এছাড়া দরজার হাতল, টেবিল, গ্যাস পাম্প, শপিং কার্টসহ বিভিন্ন পৃষ্ঠ স্পর্শ করার পর সাবান-পানি বা ৬০ শতাংশ অ্যালকোহলযুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।

বেশ কয়েকটি গবেষণার তথ্যের ভিত্তিতে হাত ধোয়ার মূল সময়ের এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ডের জন্য সাবান-পানি দিয়ে ভালে করে হাত ধুতে হবে।

সঠিক উপায়ে হাত ধুতে ৫টি ধাপ অনুসরণ করুন-

>> প্রথমে হাত পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন।
>> তারপর সাবান বা হ্যান্ড ওয়াশ ব্যবহার করে হাতের পেছনে, আঙুলের ফাঁকে ও নখ ভালো করে পরিষ্কার করুন।
>> কমপক্ষে ২০ সেকেন্ডের জন্য হাত স্ক্রাব করুন।
>> এবার পরিষ্কার পানিতে হাত ধুয়ে নিন।
>> সবশেষে পরিষ্কার তোয়ালে ব্যবহার করে হাত শুকনো করে মুছে নিন।