আমাদের শরীরের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর উপাদান হলো ভিটামিন ডি। ভিটামিন ডি এর সবচাইতে বড় উৎস হল সূর্যালোক এবং শরীরের প্রতিটি কোষেই ভিটামিন ডি গ্রহনকারী গ্রন্থি বিদ্যমান। এটি যেমন আমাদের শরীরে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস এর পরিমান বাড়িয়ে তোলে ঠিক তেমন ভাবেই মজবুত দাঁত ও হাড় গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও বেশ কিছু রোগের প্রতিষেধক হিসাবেও কাজ করে।

ভিটামিন ডি কেন প্রয়োজন?

সুস্থ হাড়, দাঁত এবং পেশির জন্য ভিটামিন ডি এর প্রয়োজন সেকথা আমরা অনেকেই জানি। আমরা জানি ভিটামিন ডি এর অভাবে হাড় ঠিকমত গড়ে ওঠে না এবং শিশুরা রিকেট নামে রোগের শিকার হতে পারে এবং প্রাপ্তবয়স্করা অস্টিওম্যালাসিয়া নামে দুর্বল হাড়ের রোগে ভুগতে পারেন।

ব্রিটেনের পুষ্টি বিষয়ক বিজ্ঞান গবেষণা উপদেষ্টা কমিটি এখন একটি গবেষণা চালাচ্ছে যাতে দেখা হচ্ছে সংক্রমণজনিত বক্ষব্যাধিতে ভিটামিন ডি ঠিক কীভাবে কাজ করে।

ভিটামিন ডি স্বল্পতার উপসর্গ:

চিকিৎসাবিজ্ঞানের তথ্যানুসারে ভিটামিন ডি তৈরি হয় কোলেস্টেরল থেকে, যখন ত্বক সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসে। হাড়, দাঁত ও পেশি সুস্থ রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এই ভিটামিন। তারপরও এর গুরুত্ব অবহেলিত রয়ে যায়। তবে ভিটামিন ডি স্বল্পতার বেশ কিছু উপসর্গ রয়েছে।
১.প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়া।
২.ক্লান্তি বোধ করা।
৩.বিষন্নতা।
৪.অতিরিক্ত চুল পড়া।
৫.কোনো আঘাত এর ঘা দেরিতে শুকোনো প্রভৃতি।


ভিটামিন ডি এর উপকারিতা:
১. বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের চোখের দৃষ্টি ক্ষীণ হয়ে যাওয়ার সমস্যাকে দূরে রাখতে সহায়তা করে ভিটামিন ডি।
২. ক্যালসিয়াম এর সহায়তায় ভিটামিন ডি পেশী সংক্রান্ত সমস্যার অবসান ঘটায়। অনেকসময় আমাদের শরীরে পেশিতে টান লাগে,সেই বিষয় এড়িয়ে যাবেন না, মনে রাখবেন এগুলোই কিন্তু রিকেট এর মতো সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
৩.শরীরের জন্য খারাপ কোলেস্টেরোল কমাতে সাহায্যে করে। এছাড়া হার্ট এর সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে।
৪. দীর্ঘদিনের মাথা ব্যথা এবং ওজন বিশেষত মহিলাদের ওজন হ্রাস করতে ভিটামিন ডি যথেষ্ট উপকারী।

ভিটামিন ডি এর উৎস:

ব্রিটিশ ডায়াটেটিক্স এসোসিয়েশন এর মতানুযায়ী সূর্যালোকের পাশাপাশি বেশ কিছু খাদ্যও আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি তৈরী করতে সাহায্য করে। সেগুলি হলো:
১. মাছের তেল
২. শুকনো মাশরুম
৩. ডিম
৪. দুধ
৫. মাখন প্রভৃতি।
শরীরে অতিরিক্ত ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হলে ডক্টরের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন ডি ক্যাপসুল গ্রহণ করুন।