আলসার শব্দটির সহজ অর্থ হচ্ছে ‘ক্ষত’। পেপসিন হচ্ছে পাকস্থলীর পাচক রস, যা আমিষ হজমে সাহায্য করে। পাকস্থলী খাদ্য হজমের জন্য ক্রমাগত হাইড্রোক্লোরিক এডিস তৈরি করে। এই এসিড যাতে পাকস্থলিকেই পুড়িয়ে না ফেলে সেজন্য পাকস্থলীর ভেতরের দেয়ালে মিউকাসের ভারী আস্তরণ রয়েছে।

দীর্ঘদিন অতিরিক্ত এসিডিটি থেকে এ ​আস্তরণ ভেদ করে এসিড এবং পেপসিনের যৌথ প্রতিক্রিয়ায় পাকস্থলীর ভেতরের দেয়ালে ক্ষত তৈরি হয়, একে পেপটিক আলসার বলে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই রোগের জন্য হেলিকোব্যক্টের পাইলোরি নামের ব্যাকটেরিয়ার প্রভাব কাজ করে।

পেপটিক আলসারের লক্ষণ
১. ক্ষুধা সহ্য করতে না পারা
২. বুক জ্বালাপোড়া বা পেটের ওপরের মধ্যভাগে ব্যাথা
৩. খাওয়ার পর পর ব্যাথা কমে বা বেড়ে যাওয়া
৪. বমি ও বমির সাথে রক্ত যাওয়া
৫. কালো রঙের পায়খানা হওয়া
৬. মধ্যরাতে ক্ষুধায় ঘুম ভেঙে যাওয়া
৭. ওজন বৃদ্ধি বা হ্রাস
৮. দীর্ঘদিনের গ্যাসের ওষুধ ব্যবহারের ইতিহাস

কয়েকমাস পর পর এসব সমস্যা ফিরে ফিরে আসা ইত্যাদি। তবে সবগুলি বৈশিষ্ট্য সবার মধ্যেই থাকবে, এমন নয়।

চিকিৎসা না করালে কী অসুবিধা-
১. আলসারের ক্ষত থেকে রক্তপাত হবে
২. পাকস্থলী বা অন্ত্রের দেওয়ালে ছিদ্র হবে
৩. ইনফেকশন
৪. হজমের গোলমাল
৫. খাদ্য পাকস্থলী থেকে অন্ত্রে যেতে না পারা
৬. ওজন বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া
৭. ১০-১৫ বছর পর শেষ পরিণতি হতে পারে ক্যান্সার

চিকিৎসা
আমাদের দেশে অনেক মানুষ এই রোগে ভোগেন। এবং নিজের ইচ্ছামত বিভিন্ন “গ্যাসের ওষুধ” সেবন করে থাকেন। এইসব ওষুধ বছরের পর বছর খেয়ে আরো নানাবিধ সমস্যা সৃষ্টি হয়।

অথচ একজন রেজিস্টার্ড এমবিবিএস চিকিৎসক আপনাকে মাত্র ২ মাসের ওষুধ দিয়ে সুস্থ করে দিতে পারেন। তাই অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া উচিত।