কিটো ডায়েটে শরীরের মেদ দ্রুত কমাতে পারে। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে এ ডায়েট কার্যকর হলেও না জেনে-বুঝে এর প্রতি আকৃষ্ট না হওয়াই ভালো। দীর্ঘ সময় ধরে কিটো ডায়েট করলে শরীরে মারাত্বক প্রভাব ফেলতে পারে এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এ ধরণের ডায়েট অনুসরণ করলে তা শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।

* নিরামিষাশীদের জন্য কিটো ডায়েট অনুসরণ করা কঠিন। কিটো ডায়েটে কিছু শাকসবজি, পুরো শস্য এবং ফলের মতো উচ্চতর কার্বস এবং উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার গ্রহণ নিষিদ্ধ করা হয়। নিরামিষভোজীদের জন্য পুষ্টির প্রাথমিক উৎস হলো ডেইরি খাবার। এই ডায়েট অনুসরণ করলে তারা শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হবে।

* এই ডায়েটের অন্যতম ক্ষতিকর একটা দিক হলো কোষ্ঠ্যকাঠিন্য। কম কার্ব এবং লো ফাইবার গ্রহণের কারণে বেশিরভাগ মানুষের এই ডায়েটটি অনুসরণ করার সময় প্রায়শই কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়।

* কিটো ডায়েট একটি উচ্চ চর্বিযুক্ত ডায়েট। এসময় চর্বি ছিন্ন করতে এবং শরীর থেকে অতিরিক্ত চর্বি বের করতে আপনার কিডনিকে খুব কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। আপনি যদি এরই মধ্যে কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন তবে এই ডায়েটটি অনুসরণ না করা উচিত।