দই খেতে ভালবাসেন সকলেই৷ কিন্তু এই দই কিন্তু রূপচর্চার এক অন্যতম উপায়৷ এতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিন৷ মুখে দই মাখলে আপনি খুব সহজেই উজ্জ্বল, মসৃণ ত্বক পেতে পারেন৷ দই মশ্চারাইজারের কাজ করে এবং শুষ্ক ত্বকের জন্য এটি খুবই ভাল৷

এছাড়াও মুখের ব্রণ, রুক্ষতা, অতিরিক্ত তৈলাক্তভাব ইত্যাদি সমস্যা থেকেও রেহাই পেতে পারেন৷ দই ক্লিজারের কাজ করে এবং ত্বকের নির্জীব কোষগুলিকে সজীব করে৷ আর অতি অবশ্যই এতে আপনার রূপচর্চা যেমন হবে তেমন খুব একটা খরচা হবে না৷

– এক কাপ টক দইয়ের সঙ্গে এক টেবিল চামচ পাতি লেবুর রস মিশিয়ে মুখে মাখতে পারেন৷ এটি খুব ভাল ক্লিনজারের কাজ করে৷ এছাড়াও আধ কাপ দইয়ে আধ চা চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে মুখ, কপাল ও গলায় লাগিয়ে নিন৷ ভাল করে ঘষে ২ থেকে ৩ মিনিট পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন৷ দেখবেন আপনার ত্বক অনেক বেশি পরিষ্কার দেখাবে৷

– দইয়ে ল্যাকটোবাসিলাস ও স্ট্রেপটোকক্কাস নামক দুটি ব্যাকটেরিয়া থাকে৷ এটি মুখের ট্যান তুলতে খুব উপযোগী৷ দইয়ের সঙ্গে ময়দা মিশিয়ে মুখে মাখলে ট্যানের হাত থেকে রেহাই পেতে পারেন৷ এছাড়াও এটি ত্বকে নরম রাখতে সাহায্য করে৷

– দুই ও বেসন মিশিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করে মুখে ফেসপ্যাকের মতো লাগিয়ে নিন৷ এছাড়াও দইয়ের সঙ্গে হলুদগুঁড়ো ও দু ফোঁটা সর্ষের তেল মিশিয়েও মুখে লাগাতে পারেন৷ যারা ব্রণর সমস্যায় ভুগছেন তারা খুব তাড়াতাড়ি উপকার পাবেন৷ আর আপনার ত্বক পরিষ্কার ও উজ্জ্বল দেখাবে

– মুখে দই ব্যবহার করার পর যদি ত্বকে টান অনুভব করেন তবে তবে ত্বককে হাইড্রেট ও ত্বকের কোষরে রক্ষা করার জন্য একটি মশ্চারাইজার ক্রিম লাগিয়ে নিন।

তবে যদি আপনার দই বা দুধজাতীয় উপাদান, আলফা ও বিটা হাইড্রক্সাইড অ্যসিড থেকে এ্যালার্জী থাকে তবে দই মুখে না মাখাই ভাল৷ এছাড়াও যদি একবার দই মুখে ব্যবহার করার পর জ্বালা বা ব্যথা অনুভব করেন তবে দ্বিতীয় বার এটি প্রয়োগ করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।