কুড়িগ্রামে নজীরবিহীন খরার কবলে পুড়ে যাচ্ছে সবজি, ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত। গত তিন মাস বেশিরভাগ এলাকায় দেখা মেলেনি বৃষ্টির। কোথাও ছিটেফোটা বৃষ্টি হলেও ভেজাতে পারেনি তপ্ত মাটি। চৈত্র-বৈশাখের ঝড় বৃষ্টির বদলে টানা বৃষ্টিহীনতার কারণে কমে গেছে সবজির উৎপাদন। ফসলে বেড়েছে পোকার আক্রমণ।

ঘন ঘন কীটনাশক স্প্রে দিয়েও দমন হচ্ছেনা পোকা। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, খরা মোকাবিলায় কৃষকদের ফসলের ক্ষেতে ঘন ঘন সেচ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

অপরদিকে বৃষ্টিহীনতার কারণে সবজির ফুল শুকিয়ে ঝরে যাওয়ায় কমছে সবজির উৎপাদনও। এসব কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছে হাজারো কৃষক। কৃষকেরা বলছেন, গত ৫০ বছরে এমন খরা দেখেননি তারা।

কৃষকরা জানিয়েছে, উৎপাদনের সব উপকরণের মূল্যবৃদ্ধিতে এমনিতেই বাড়ছে ফসলের উৎপাদন খরচ। তার ওপর ঘন সেচ দিয়েও ফসল রক্ষা না হওয়ায় লোকসানে নুয়ে পড়েছে চাষের ওপর নির্ভরশীল কৃষকেরা। পাশাপাশি তীব্র রোদে কাজ করতে না পারায় দিনমজুর পরিবারগুলো পড়েছে আর্থিক সংকটে।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, গত বছর ফেব্রুয়ারি মার্চ ও এপ্রিল মাসে ৩০৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হলেও এবছর ওই তিন মাসে বৃষ্টি হয়েছে মাত্র ৬১ মিলিমিটার। তাও সব স্থানে দেখা মেলেনি এক ফোঁটা বৃষ্টির। চলতি মাসের এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনও দেখা মেলেনি কাঙ্খিত বৃষ্টির।

খরা মোকাবিলায় কৃষিবিভাগ ঘন ঘন সেচ দেওয়ার পরামর্শ ছাড়াও চরাঞ্চলের কৃষকদের জন্য নানা উদ্যোগ নিয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।