তাইওয়ানকে ঘিরে দ্বিতীয় দিনের মতো সামরিক মহড়া চালাচ্ছে চীন। যুদ্ধজাহাজ ও বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে তাইওয়ানকে ঘিরে ফেলার অনুকরণে এই মহড়া চালাচ্ছে চীন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এমনটি জানানো হয়েছে।

রোববার (৯ এপ্রিল) তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দ্বীপের আশপাশে তারা চীনের নয়টি যুদ্ধজাহাজ এবং ৫৮টি যুদ্ধ বিমান শনাক্ত করেছে। গতকাল শনিবারও তারা ৯টি যুদ্ধ জাহাজ শনাক্ত করেছিল। তবে গতকাল যুদ্ধ বিমান ছিল ৭০টিরও বেশি।

তাইপে জানিয়েছে, যৌথ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তারা চীনা সেনাবাহিনীর গতিবিধি নজরদারী করছে।

এদিকে, চীনের সামরিক মহড়াকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া চীনকে এই মহড়া থেকে বিরত থাকার আহ্বানও জানিয়েছে ওয়াশিংটন।

চীনের হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও গত বুধবার (৫ এপ্রিল) ক্যালিফোর্নিয়ায় মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে বৈঠক করেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন। এতে ক্ষুব্ধ হয় চীন। সাইয়ের সফরের মধ্যেই চলে ৪ দিনের মহড়া। এতে ১১টি স্বল্প পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপসহ ব্যবহার করা হয় রণতরী, যুদ্ধবিমান ও ড্রোন।

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন চীনের সামরিক মহড়ার তীব্র সমালোচনা করেছেন। গতকাল শনিবার তিনি বলেন, তাইওয়ান চীনা কর্তৃত্ববাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে।

তাইওয়ান প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দেখিয়েছি যে, চাপ-হুমকির মুখে আমরা আরও ঐক্যবদ্ধ হই। আমরা কখনই হাল ছাড়বো না। কোনো বাধাই আমাদের বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ করা থেকে সরাতে পারবে না। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের কাজ অব্যাহত থাকবে।