করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সার্বিক কার্যাবলি ও চলাচলের ওপর কিছু শর্ত দিয়ে বিধিনিষেধ ১৬ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে বুধবার (৫ মে) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

এ সময়ে মানতে হবে বেশ কয়েকটি শর্ত। এ লকডাউন ৫ মে মধ্যরাত থেকে ১৬ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। যেসব শর্ত মানতে হবে-

১. সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঈদের ছুটিতে আবশ্যিকভাবে স্ব স্ব কর্মস্থলে (অধিক্ষেত্রে) অবস্থান করবেন।

২. দোকানপাট ও শপিংমলগুলো পূর্বের মতো সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। সব দোকানপাট ও শপিংমলে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে প্রতিপালন নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় দোকানপাট ও শপিংমল তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে।

৩. আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। তবে আগামী ৫ মের পর যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন সাপেক্ষে জেলার অভ্যন্তরে গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে। তবে ট্রেন ও লঞ্চ চলাচল আগের মতোই বন্ধ থাকবে।

৪. মাস্ক ব্যবহার শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৫. জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে।

৬. কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সিটি করপোরেশন, জেলা সদর, পৌরসভা এলাকাগুলোতে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের জন্য তথ্য মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন, পৌরসভা মাইকিংসহ ব্যাপক প্রচার প্রচারণার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান ও শপিংমল সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান, শিল্প-কারখানা খোলা থাকবে। তবে সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। সীমিত পরিসরে ব্যাংকে লেনদেন করা যাবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত।

লকডাউনের এ সময়ে দূরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। এমনকি এ সময়ে লঞ্চ ও ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে আগামীকাল ৬ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেলার ভেতর গণপরিবহন চলবে।