এ বছরের শেষ নাগাদ চীনে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের তিনশো কোটি ডোজ প্রস্তুত হবে বলে জানিয়েছে দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন। খবর এএফপির।

শনিবার চীনের সিচুয়ান প্রদেশের চেংডু শহরে এক অনুষ্ঠানে জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের কর্মকর্তা ও করোনা ভ্যাকসিন উন্নয়ন প্রকল্পের সমন্বয়কারী দলের প্রধান ঝেং ঝোংওয়েই এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘এই বছরের মাঝামাঝি সময়ে আমরা নিজেদের (ভ্যাকসিনের) চাহিদা মেটাতে পুরোপুরি সক্ষম হব।’

ভ্যাকসিন তৈরিকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের উৎপাদন ক্ষমতা দ্রুত বৃদ্ধি করলেও উৎপাদন সেই তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে কিনা তা পরিষ্কার নয়। চীন সরকারের দেয়া সাম্প্রতিক তথ্যমতে, গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চের শেষ নাগাদ পর্যন্ত ভ্যাকসিনের উৎপাদন তিনগুন বেড়েছে। প্রতিদিন ৫০ লাখ করে ডোজ বানানো হচ্ছে।

চীনের অন্যতম প্রধান ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিনোভ্যাক বায়োটেক চলতি মাসে জানিয়েছে, তারা তাদের তৃতীয় উৎপাদন কারখানা তৈরির কাজ সম্পন্ন করার পর বাৎসরিক উৎপাদন ক্ষমতা দ্বিগুণ করে দুইশো কোটি ডোজ পর্যন্ত বাড়িয়েছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যালস গ্রুপ- সিনোফার্মের বাৎসরিক উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে যৌথভাবে দুটি পৃথক ভ্যাকসিনের ১ কোটি ১০ লাখ ডোজ। কোম্পানিটি জানিয়েছে, তারা উৎপাদন তিনশ কোটি ডোজ পর্যন্ত বৃদ্ধি করবে। তবে এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমার কথা তারা উল্লেখ করেনি।

শুক্রবার সিনোফার্ম জানিয়েছে, তারা এপ্রিল থেকে প্রতিমাসে ১০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে পারবে।