খুলনার মরিয়ম বেগম লেবানন থেকে দেশে ফিরে এসেছিলেন গত মার্চ মাসের মাঝামাঝিতে।

করোনাভাইরাসের লকডাউন শেষে বিমান চলাচল শুরু হওয়ার পর, গত কয়েকমাস ধরে তিনি আবার বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু এখনো কোন উপায় খুঁজে পাননি।

তিনি বলছিলেন, ”বিদেশ যাতি পারছি না, কোন কাজকর্ম করতে পারছি না। সমস্যায় তো আছি ভাই। নতুন করে চালু হওয়ার পর থেকেই চেষ্টায় আছি, কিন্তু কিছু হয় নাই। আমারে বলেছে, ১৫ তারিখের মধ্যে কিছু জানাবে। নয়-দশ মাস ধরি বসি আছি, জমানো টাকা ভাঙ্গি খাতি হইতাছে।”

তিনি বলছেন, গত চারমাস ধরেই তিনি বিদেশে যাওয়ার জন্য যোগাযোগ করছেন। কিন্তু কবে যেতে পারবেন, বুঝতে পারছেন না।

অভিবাসী শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করে, এমন একটি সংস্থা রামরু মঙ্গলবার একটি প্রতিবেদনে বলেছে, করোনাভাইরাস সংকট শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশের যে অভিবাসী শ্রমিকদের বিদেশে যাওয়ার হার ৭০ ভাগ কমে গেছে।

বিশেষ করে যারা এই সময়ে দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন, তারা আর ফেরত যেতে পারেননি। এই অভিবাসী ও তাদের পরিবারের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে।

সংস্থাটি বলছে, এর প্রভাব পড়তে পারে সামনের বছরের রেমিটেন্সের ওপরেও।

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, পহেলা এপ্রিল থেকে ৩০শে নভেম্বর পর্যন্ত দেশে ফেরত এসেছেন ৩ লাখ ২৬ হাজার ৭৫৮ জন কর্মী। এদের মধ্যে ৩৯ হাজার ২৭৪ জন নারী।

বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর সাত লাখের বেশি মানুষ বিদেশে কাজের জন্য গেলেও এই বছর গেছে, দুই লাখের কম শ্রমিক। মার্চ মাস থেকেই আটকে গেছে বাংলাদেশ থেকে পাঁচ লাখ ভাগ্যান্বেষী মানুষের বিদেশ যাত্রা।(বিবিসিবাংলা)