ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বাক্ষরিত ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তির বিরোধীতা করেছে ফিলিস্তিন । এদিকে চুক্তির পরপরই ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এর বিরোধীতা করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে থাকা দেশটির রাষ্ট্রদূতকে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের নির্দেশ দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ইসরাইল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এই চুক্তির ফলে ইসরাইল অধিকৃত পশ্চিম তীরের দখলি পরিকল্পনা বন্ধ করবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান এক যৌথ বিবৃতিতে আশা প্রকাশ করেছেন যে ঐতিহাসিক এই চুক্তির ফলে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি বয়ে আনবে। এতে করে একটি নতুন দিশা দেখাবে যা এই অঞ্চলে দুর্দান্ত সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে।

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদিনেহ বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের ত্রিপক্ষীয় একটি সমঝোতা চুক্তি আমাদের অবাক করেছে, এ ঘোষণা প্রত্যাখ্যান ও নিন্দা জানায় ফিলিস্তিন। তবে অন্যান্য আরব দেশ এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে।

ট্রাম্প, আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন জায়েদ এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মধ্যে আলোচনার পরে এই চুক্তি হয়। এ ইস্যুতে ট্রাম্প টুইটারে লিখেছেন, আজ বিশাল সাফল্য! আমাদের দুই গ্রেট বন্ধু ইসরাইল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তি হয়েছে।

শেখ মোহাম্মদ বলেছেন, এই চুক্তি ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডে ইসরাইলিকরণ বন্ধ করবে।

নেতানিয়াহু বলেন, এটি ঐতিহাসিক দিন এবং এই চুক্তি সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে ইসরায়েলের শান্তি বয়ে আনবে।

নেতানিয়াহু টেলিভিশন ভাষণে বলেন, এটি একটি অতুলনীয় উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্ত। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইসরাইলের প্রতিনিধিরা আগামী সপ্তাহে বিনিয়োগ, পর্যটন, সরাসরি বিমান, সুরক্ষা এবং টেলিযোগাযোগ সম্পর্কিত অন্যান্য চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য বৈঠক করবেন। তারা দূতাবাস স্থাপনের বিষয়েও আলোচনা করবেন।

১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের স্বাধীনতার ঘোষণার পর ইসরায়েল ও আরবের মধ্যে এটি তৃতীয় চুক্তি। এর আগে মিসর ১৯৭৯ সালে ও জর্ডান ১৯৯৪ সালে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল।