হজরত ইবনে ওমর রাদিআল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহর কাছে কোনো দিনই এত অধিক প্রিয় নয়, আর না তাতে আমল করা, (জিলহজের) এ দশ দিনের তুলনায়। সুতরাং তোমরা তাতে (জিলহজের প্রথম ১০ দিন) বেশি বেশি তাহলিল, তাকবির ও তাহমিদ পাঠ কর।’ (তাবারানি) হজের মাসের প্রথম দশকের ১০টি বিশেষ আমল তুলে ধরা হলো-

– আল্লাহকে অধিক পরিমানে স্মরণ করা।আল্লাহ তাআলা বলেন-
لِيَشْهَدُوا مَنَافِعَ لَهُمْ وَيَذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ فِي أَيَّامٍ مَّعْلُومَاتٍ عَلَى مَا رَزَقَهُم مِّن بَهِيمَةِ الْأَنْعَامِ فَكُلُوا مِنْهَا وَأَطْعِمُوا الْبَائِسَ الْفَقِيرَ
‘যাতে তারা তাদের কল্যাণের স্থান পর্যন্ত পৌছে এবং নির্দিষ্ট দিনগুলোতে আল্লাহর নাম স্মরণ করে তাঁর দেয়া চতুস্পদ জন্তু যবেহ করার সময়। অতপর তোমরা তা থেকে আহার কর এবং দুঃস্থ-অভাবগ্রস্থকে আহার করাও।’ (সুরা হজ : আয়াত ২৮)

– অধিক হারে নেক আমল করা।’ (বুখারি ও মুসলিম)

– পাপের পথে না চলা।’ (বুখারি ও মুসলিম)

– সামর্থ্যবান হলে হজ আদায় করা।’ (বুখারি ও মুসলিম)

– সামর্থ্য থাকলে কুরবানি আদায় করা।’ (সুরা কাউসার, তিরমিজি)

– কুরবানি দিতে ইচ্ছুক ব্যক্তির জন্য এ ১০ দিন নখ, চুল ইত্যাদি না কাটা।’ (মুসলিম)

– বেশি বেশি তাকবির, তাহমিদ, তাহলিল বলা। যথা-
اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لَا إلَهَ إلَّا اللَّهُ وَاَللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ
উচ্চারণ : আল্লাহুআকবারআল্লাহুআকবার, লাইলাহাইল্লাল্লাহুওয়াল্লাহুআকবার, ওয়ালিল্লাহিলহামদ।’ (বুখারি)
অর্থ : ‘আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; আল্লাহ মহান, আল্লাহ ব্যতিত কোনো উপাস্য নেই; সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, আল্লাহ মহান।’
– আরাফার দিন (৯ জিলহজ) থেকে ঈদের পর চতুর্থ দিন (১৩ জিলহজ) আসর নামাজ পর্যন্ত প্রত্যেক নারী-পুরুষ প্রতি ওয়াক্তের ফরজ নামাজের পর এ তাকবির (তাকবিরে তাশরিক) ১ বার পাঠ করা ‘ (বুখারি)

– আরাফার দিন (৯ জিলহজ হজের দিন) রোজা পালন করা।’ (মুসলিম)

– ঈদের সুন্নাতগুলো যথাযথভাবে পালনের মাধ্যমে ঈদের নামাজ আদায় করা এবং ঈদের নামাজের পর আল্লাহর নৈকট্য লাভে পশু কুরবানি করা।

জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের এ আমলগুলো করার মাধ্যমে মহান আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা সম্ভব। আর তাতে বান্দা লাভ করবে দুনিয়া ও পরকালের অসংখ্য নেয়ামত।