ভারতীয় সিনেমা জগতের মধ্যে বাস্তবিক জীবনের সেরা জুটিগুলোর মধ্যে অন্যতম শাহরুখ খান ও গৌরী খান দম্পতি। বলিউডে শাহরুখের অভিষেকের আগেই তাঁদের পরিচয়। ১৯৯১ সালে বসেন বিয়ের পিঁড়িতে। শাহরুখ- গৌরীর বিয়ের ৩০ বছর হতে চলেছে, তবে এখনো তাঁদের সম্পর্ক আগের মতোই। তবে শোনা যায় শুরুর পথ এতটা মসৃণ ছিল না তাদের। দুজন ভিন্ন ধর্মের অনুসারী হওয়ায় গৌরীর পরিবারকে এই বিয়েতে রাজি করাতে হয়েছিল। একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

অনেক আগে ফরিদা জালালের টক শো’তে পাঞ্জাবি পরিবারের মেয়ে গৌরীকে বোরকা পরতে বলা ও নাম পরিবর্তন করে আয়েশা রাখতে বলা নিয়ে বেশ চমকপ্রদ ঘটনা প্রকাশ করেন শাহরুখ খান। ঘটনাটি ঘটে তাঁদের বিবাহোত্তর সংবর্ধনায়, যেখানে গৌরীর আত্মীয়রা বরের ধর্ম নিয়ে কানাঘুষা করছিলেন। ওই ঘটনা উল্লেখ করে বলিউড বাদশাহ বলেন, ‘আমার মনে আছে, যখন তাঁদের পুরো পরিবার, আদি ধ্যানধারণার মানুষেরা… আমি তাঁদের সবাইকে সম্মান করি ও তাঁদের বিশ্বাসকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু ওই পুরোনো ধাঁচের রিসেপশনে সবাই বসেছিল। ১টা ১৫ মিনিটে আমি যখন সেখানে যাই, সবাই কানাঘুষা করছিল—হুম, ও একজন মুসলিম ছেলে। হুম… সে কি মেয়ের নাম বদলে দেবে? গৌরী কি মুসলমান হয়ে যাবে?’ শাহরুখের রসাল কথার সঙ্গে অনেকেই পরিচিত। সেদিনও শাহরুখ কিছুটা মজা করার সিদ্ধান্ত নেন। ‘ঠিক আছে গৌরী, বোরকা পরে নাও এবং চলো এখনই নামাজ পড়ি,’ বলেছিলেন শাহরুখ। কিং খান আরও বলেন, ‘আমি গৌরীর ধর্ম পরিবর্তন করিয়েছি, এমনটি ভেবে পুরো পরিবার আমাদের দিকে বিস্ফোরক দৃষ্টিতে তাকাচ্ছিল। তখন আমি তাঁদের বললাম, সে এখন থেকে নিয়মিত বোরকা পরবে, কখনো ঘর থেকে বের হবে না এবং ওর নাম হবে আয়েশা।’ পরক্ষণেই শাহরুখ বলেন, ‘আমি অনেক মজা করেছি, তবে এর মধ্যে শিক্ষাটি হচ্ছে—প্রত্যেকের অবশ্যই ধর্মকে সম্মান করা উচিত, তবে তা কখনোই ভালোবাসার মধ্যে টেনে আনা উচিত নয়। যা হোক, বিয়েটা দারুণ ছিল। আমাদের সম্পর্ক আরো মজবুত হচ্ছে।’ শাহরুখ-গৌরী দম্পতির রয়েছে তিন সন্তান—আরিয়ান, সুহানা ও আব্রাম খান।

আরএএস/সাএ