হংকং সিক্সেস টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। আজ রোববার (৩ নভেম্বর) টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে শ্রীলংকার কাছে তিন উইকেটে হেরেছে সাইফুদ্দিন-ইয়াসির আলিরা। এর আগে গ্রুপ পর্বে লঙ্কানদের কাছে ১৮ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ।

হংকংয়ের মিশন রোড মাঠে টস জিতে আগে ব্যাট করা বাংলাদেশ ছয় ওভারে পাঁচ উইকেটে ১০৩ রান তোলে। জবাবে ৫.৫ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ১০৪ রান করে শ্রীলঙ্কা। নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি দলে ছয় জন করে ব্যাট করতে পারে।

বাংলাদেশকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠা শ্রীলঙ্কা পরবর্তীতে শিরোপাও জিতে নেয়। পাকিস্তানকে তিন উইকেটে হারিয়ে ১৭ বছর পর দ্বিতীয়বারের মত শিরোপার স্বাদ নেয় শ্রীলংকা। এর আগে ২০০৭ সালে প্রথম শিরোপা ঘরে তুলেছিলো লংকানরা।

এর আগে ১১ বলে ৩৮ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে বাংলাদেশ। একটি চার ও দুই ছক্কায় চার বলে ১৬ রান করে আউট হন আব্দুল্লাহ আল মামুন। আরেক ওপেনার জিশান আলমের ব্যাট থেকে আসে ১১ বলে ৩৬ রান।

জিশানের বিদায়ে ক্রিজে এসে ডাক মারেন ইয়াসির আলি। ৫৮ রানে তৃতীয় উইকেট পতনের পর অধিনায়ক মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও আবু হায়দারের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৬ ওভারে ৫ উইকেটে ১০৩ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। তিনটি চার ও একটি ছক্কায় ১২ বলে ২৩ রান করেন সাইফুদ্দিন। ছয় বলে ১৮ রান করেন আবু হায়দার। শ্রীলঙ্কার পক্ষে স্পিনার থারিন্দু রত্নানায়েকে ৩৩ রানে চার উইকেট নেন।

১০৪ রানের টার্গেটে ১৫ বলে ৫৮ রানের সূচনা করে শ্রীলঙ্কা। ৬ বলে ৪টি ছক্কায় ২৪ রান করা ধনাঞ্জয়া লক্ষণকে শিকার করে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন পেসার আবু হায়দার। এরপর রানের চাকা সচল রেখে হাফসেঞ্চুরির ইনিংস খেলেন আরেক লঙ্কান ওপেনার সান্দুন উইরাকোডি। সাতটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৫০ রান করে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে বাধ্যতামূলক রিটায়ার্ড হার্ট হন তিনি। এ সময় দুই ওভারে ১৮ রান দরকার ছিলো শ্রীলংকার।

পঞ্চম ওভারে বোলিংয়ে এসে দুই রানে দুই উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশের জয়ের সুযোগ ধরে রাখেন জিশান। কিন্তু, আব্দুল্লাহর করা শেষ ওভার থেকে ১৪ রান তুলে এক বল হাতে রেখেই জয়ের স্বাদ নিয়ে ফাইনালে উঠে শ্রীলঙ্কা। এরপর জেতে শিরোপা।