কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে সহিংসতার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে চলছে সাঁড়াশি অভিযান। এরই ধারাবাহিকতায় সারাদেশে ২৯০ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
শনিবার (২৭ জুলাই) র্যাব সদরদপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, নাশকতার অভিযোগে গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ৭১ জন ও ঢাকার বাইরে ২১৯ জনসহ সারাদেশে ২৯০ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
এর আগে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে বিটিভি ভবন, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এবং ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় জড়িত অভিযোগে গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব মো. তারেক রহমানসহ চারজনকে রাজধানীর মিরপুর ও বাড্ডা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব।
তারা হলেন- গণঅধিকার পরিষদের যুগ্মা সদস্য সচিব মো. তারেক রহমান (৩১) ও তার সহযোগী মো. সজল মিয়া (২৪), আল ফয়সাল রকি (২৭) ও মো. আরিফুল ইসলাম (৩০)।
র্যাব জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে হামলা, নাশকতা ও অগ্নিসংযোগে গ্রেফতাররা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দল, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ও রাষ্ট্রবিরোধী চক্রের নির্দেশনায় তারা এ হামলা ও নাশকতায় অংশ নেন।
গ্রেফতাররা মূলত তারেকের (কেন্দ্রীয় যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক বিল্লাল হোসেন তারেক) নির্দেশনা ও নেতৃত্বে রাজধানীর বিটিভি ভবন, মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ স্টেশনসহ রামপুরা, বাড্ডা, মিরপুরে বিভিন্ন স্থানে নাশকতা ও অগ্নিসংযোগ করে। দেশে ও দেশের বাইরের বিভিন্ন রাষ্ট্রবিরোধী কুচক্রী মহলের সঙ্গে তারেক নিয়মিত যোগাযোগ করতেন।