বাজেট বাস্তবায়নে ব্যাংক ঋণ নির্ভরতার সমালোচনা করেছেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। তিনি বলেছেন, সরকারকে কয়েকটি প্রেসার নেয়া লাগবে। সোমবার (২৪ জুন) সংসদের প্রস্তাবিত বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, এই প্রেসারের বিষয়ে আমি সাজেশন দিতে চাই। এই বাজেটে ঋণ দিয়ে উন্নয়ন ব্যয় মেটানো হবে। আড়াই লাখ কোটি টাকার লোন নেয়া হবে। দেড় লাখ কোটি নেয়া হবে ব্যাংক থেকে। আমি এমপি হওয়ার পর একটা গাড়ি কিনেছি এক কোটি টাকা দিয়ে। ৫০ কোটি টাকা লোন নিয়েছি সাউথইস্ট ব্যাংক থেকে। এই লোনের সুদের কারণে রাতে ঘুম আসে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে কীভাবে ঘুমাবেন এটা একমাত্র তিনিই জানেন। আড়াই লাখ কোটি টাকার ঋণের বোঝা উনার মাথায় থাকবে সবসময়।
তিনি বলেন,এই সরকারকে ও বাজেটকে ব্যর্থ করার জন্যও আরেকটা বাজেট আছে। এই বাজেট যাতে ব্যর্থ হয় তার জন্য নেতৃত্ব দিচ্ছেন ড. মুহস্মদ ইউনুস। তিনি চাচ্ছেন। তার নেতৃত্বে যে সরকার গঠিত হবে। আছে ডলার।
কক্সবাজারের মিয়ানমার সীমান্তে মানুষের মনের আতঙ্ক দূর করতে বিজিবি, স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসন, স্থানীয় সামরিক কর্তৃপক্ষকে আরও জোরদার করার দাবি জানান সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম। তিনি বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ কক্সবাজার সীমান্ত থেকে একটু দুরে। সমগ্র জাতি ও বিশ্ব সেন্ট মার্টিনের দিকে তাকিয়ে আছে। আমরা আশা করি এ নিয়ে সংসদে কেউ না কেউ কিছু বলবেন। সেন্ট মার্টিন দ্বীপের মানুষের আতঙ্ক দুর করবেন।
তিনি বলেন, বাজার সিন্ডিকেট আগের মত খেলা করছে। মানুষকে তার শিকারে পরিণত করছে। সরকার স্বীকার করছে সিন্ডিকেট রয়েছে। কিন্তু সিন্ডিকেট ভাঙার কোন উদ্যোগ দেখি না।
মেনন বলেন, বিএনপি আমলের দুর্নীতির বিশ্ব সূচকে আমাদের সেই কলঙ্ক দূর হলেও ঐ সূচকে বাংলাদেশ এখনও শীর্ষ দশের মধ্যে রয়েছে। বরং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতির সম্প্রতি যে চিত্র বেরিয়ে আসছে। তা দেশের ভাবমূর্তি কেবল নয়, সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জনমনে অনাস্থা সৃষ্টি করছে।
তিনি বলেন, এ কথা এখন আর অস্বীকার করার উপায় নাই যে, সাবেক পুলিশ প্রধান ও সেনা প্রধানের দুর্নীতির চিত্র হিমশৈলের ক্ষুদ্র উপরিভাগ মাত্র। এখনই বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করে দুর্নীতির এই বিস্তার রোধ করা না গেলে হিমশৈলের ধাক্কায় দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির সলিল সমাধি হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমরা এখানে দেখলাম পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন থেকে দুর্নীতির খবর প্রকাশ করার জন্য সাংবাদিকদের ধমক দেয়া হয়েছে। অনেক মন্ত্রী এ তথ্যকে অনুমান ভিত্তিক বলে অভিহিত করছেন।
তিনি আরও বলেন, মার্কিন ফাইনানশিয়াল ইনট্রিগেটি ইন্সটিটিউশন দেখিয়েছে যে, বছরে ৭ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে যাচ্ছে। এই অর্থ বিনিয়োগ হচ্ছে কানাডার বেগম পাড়ায়, মালয়েশিয়ার সেকেন্ড হোমে, সিঙ্গাপুর, দুবাইয়ের আধুনিক শপিংমল, রিয়েল এস্টেট ও হুন্ডি ব্যবসায়। এই টাকার লভ্যাংশও দেশে আসছে না। পাচারকৃত টাকা ফিরিয়ে আনার কোন উদ্যোগ নাই। অথচ প্রবাসীরা বিদেশে হাড়ভাঙা খাটুনির যে আয় দেশে পাঠায় তার ওপর কর বসানো হচ্ছে। তাদের বিদেশ যাত্রা নিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে।