তীব্র গরম আর দূষিত খাবার পানির কারণে রাজধানীতে হঠাৎ দেখা দিয়েছে ডায়েরিয়ার প্রকোপ। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) হাসপাতালে প্রতি ঘণ্টায় আসছে প্রায় অর্ধশতাধিক রোগী। সময়ের সঙ্গে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে শিশুরা। এ অবস্থায় নিরাপদ পানি ও খাবার স্যালাইনের পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের।
ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার একদিনের মাথায় মারা গেছে আড়াই বছরের শিশু মিজান। যমজ সন্তানের একজনকে হারিয়ে দিশেহারা তাদের বাবা-মা। শিশু মিজানের বাবা জানান, গতকাল কালকে রাত থেকে দুজনেরই প্রচণ্ড বমি হয়। মুখ দিয়ে লালাও ঝরছিল। এবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসার পথেই মারা যায় একজন। আরেকজন এখন হাসপাতালে ভর্তি আছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, তীব্র গরম আর অনিরাপদ পানি ডায়েরিয়ার অন্যতম কারণ।
আইসিডিডিআরবির শিশু বিশেষজ্ঞ ড. লুবাবা শাহরিন বলেন, ‘প্রতিবছরই জুন মাসে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যায়। এর অন্যতম কারণ হলো খোলা জায়গার খাবার খাওয়া। এ ছাড়াও বাসায় যে পানি পান করা হয়, সেটি অনেক সময় নিরাপদ থাকে না। সেই পানি ফুটিয়ে পান না করার ফলেও অনেকে ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়।’
আইসিডিডিআরবির প্রধান ড. বাহারুল আলম বলেন, ‘খাবার স্যালাইন খাওয়ার পর যদি মনে হয়, রোগীর অবস্থা খারাপ হচ্ছে, বমি বাড়ছে, খাবার স্যালাইন খেতে পারছে না অথবা রোগী নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে, তাহলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। অনেকে বিভিন্ন কোমল পানীয় পান করেন। এটি আমরা সম্পূর্ণ নিষেধ করি। এটি ছাড়া স্বাভাবিক খাবার রোগীকে দিতে হবে।’
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০০৭ ও ২০১৮ সালের পর এবারই রোগীর চাপ এতটা বেড়েছে। তবে রোগীর চাপ সামলাতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।