মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিদ্রোহীদের সামনে টিকতে না পেরে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষীবাহিনীসহ (বিজিপি) মিয়ানমারের ৩৩০ জন নাগরিককে মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টায় নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম স্কুল থেকে ছয়টি গাড়িতে করে কঠোর নিরাপত্তায় তাদের ইনানী সৈকতে আনা হয়। এরপর টেকনাফ হ্নীলায় রাখা বাকি বিজিপি সদস্যদের আনা হচ্ছে।

বিজিপি সদস্যদের বহন করা গাড়ির সামনে পেছনে বিজিবির দুটি গাড়ি রয়েছে। তাদের হস্তান্তরের লক্ষ্যে ইনানী সৈকতসহ সীমান্ত এলাকায় নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ঘুমধুম স্কুল থেকে ১৬৬ জনকে ছয়টি গাড়িতে করে ইনানীতে আনা হয়েছে। বাকিদের হ্নীলা থেকে আনা হবে। সেন্টমার্টিন টেকনাফ রুটের পর্যটকবাহী দুটি জাহাজে করে তাদের গভীর সমুদ্রে অবস্থান করা মিয়ানমারের জাহাজে নিয়ে যাওয়া হবে। এরইমধ্যে রোহিঙ্গাদের নিতে আসা জাহাজটি রাত একটার দিকে মিয়ানমার সিটু বন্দর থেকে বাংলাদেশের জলসীমায় এসে পৌঁছেছে।

বিজিপি সদস্যদের হস্তান্তরের সময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী এবং মিয়ানমারের সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হস্তান্তর করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

মিয়ানমারের আরকান রাজ্য দখল নিতে দেশটির জান্তা বাহিনীর বিভিন্ন ব্যারাকে হামলা চালায় বিদ্রোহী গোষ্ঠি আরকান আর্মি (এএ)। বিদ্রোহীদের গুলির মুখে টিকে থাকতে না পেরে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষীবাহিনী (বিজিপি), সেনা, ইমিগ্রেশনসহ সরকারি বাহিনীর ৩৩০ নাগরিক পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।