ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের পর আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে ইমরান হাসান সিজান (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে এপিবিএন-২ ময়মনসিংহের সাইবার ক্রাইম শাখা।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঈশ্বরগঞ্জ পৌর সদরের হাসপাতাল রোড এলাকার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ঈশ্বরগঞ্জ পৌর সদরের ধামধী এলাকার শামছুল্লাহ নান্টুর ছেলে এবং ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শাখার ছাত্রলীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত ইমরান হাসান সিজান তার বন্ধুর মাধ্যমে কৌশলে ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকায় বেড়াতে আসা গৃহবধূর নম্বর নেয়। ওই গৃহবধূ সিজানের বন্ধুর সম্পর্কে খালাতো বোন। গত তিন মাস পূর্বে মোবাইলে গৃহবধূকে ট্যাপে ফেলে নির্জন স্থানে নিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রথমে আপত্তিকর ছবি তুলে, পরে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করে সিজান। এরপর থেকে ফেসবুকে ওই আপত্তিকর ভিডিও ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে বারবার তার কাছে যেতে বাধ্য করে। একপর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী আপত্তি জানায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইমরান হাসান সিজান ভুক্তভোগীর নামে ফেসবুকে আইডি খোলে পূর্বের ধারণ করা আপত্তিকর ভিডিও আপলোড করে ভুক্তভোগীর স্বামীসহ বিভিন্ন গ্রুপ ও মেসেঞ্জারে ছড়িয়ে দেয়।

বিষয়টি ভুক্তভোগী ৯৯৯ এ কল দিয়ে আইনগত সহযোগিতা চাইলে তাকে ময়মনসিংহ এপিবিএন-২ মুক্তাগাছায় যেতে বলা হয়। গত ১২ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে এপিবিএন-২ এর এসআই আব্দুল জলিলের নেতৃত্বে একটি টিম মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালায়। পরে ঈশ্বরগঞ্জ পৌর সদর হাসপাতাল রোড এলাকা থেকে অভিযুক্ত ইমরান হাসান সিজানকে গ্রেপ্তার করে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে।

অভিযুক্ত ইমরান হাসান সিজানকে ধর্ষণ, পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন এবং নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার সকালে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মাজেদুর রহমান বলেন, সিজান নামের এক যুবককে এপিবিএন আটক করে থানায় হস্তান্তর করার পর মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই মামলায় বুধবার সকালে তাকে কোর্টে পাঠানো হয়।