ঋণ খেলাপিদের বারবার সুবিধা দেওয়ার পরও কমছেই না খেলাপি ঋণের পরিমাণ। বছরের ব্যবধানে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে আর্থিক খাতের এ বিষফোঁড়া।
অথচ, তার আগের বছরের (২০২২) একই সময়ে বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৭৮৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসেবে, মোট খেলাপি ঋণের মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬৫ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা। বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে ৭০ হাজার ৯৮১ কোটি টাকা, বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোতে ৫ হাজার ৬৬৯ কোটি টাকা এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
এদিকে, ধাপে ধাপে ঋণ ছাড়ের ক্ষেত্রে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ ধীরে ধীরে কমিয়ে আনার শর্ত দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। ২০২৬ সালের মধ্যে বেসরকারি খাতে খেলাপি ঋণ ৫ শতাংশের নিচে এবং সরকারি ব্যাংকে ১০ শতাংশের নিচে নামাতে হবে।