আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খারাপ কাজ করে কেউ পার পায়নি, পাবেও না। বিশ্বজিৎ হত্যায়ও কাউকে বিচারহীন থাকতে দেওয়া হয়নি। সংগঠনে থেকে কেউ কেউ খারাপ কাজ করতে পারে। দেখতে হবে দল কোনো ছাড় দেয় কিনা।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে গত শনিবার রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যায় পূর্বপরিচিতির সূত্রে ভুক্তভোগীর স্বামী জাহিদকে (বাদী) বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেকে আনেন মামুন। বিশ্ববিদ্যালয়ে আসলে তাকে নিয়ে মীর মশাররফ হোসেন হলের ‘এ’ ব্লকের ৩১৭ নম্বর কক্ষে (মুরাদের কক্ষ) নিয়ে আটকে রাখেন অভিযুক্তরা। বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েক দিন থাকবেন বলে জাহিদকে তার স্ত্রীর মাধ্যমে জিরানীর বাসায় নিজের রেখে আসা জিনিসপত্র আনতে বলেন মামুন। এর প্রেক্ষিতে মামুনের জিনিসপত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে আসেন ভুক্তভোগী নারী। পরে ওই নারীর কাছ থেকে জিনিসপত্র নিয়ে মামুন হলের ভিতরে মুরাদের কক্ষে সেগুলো রেখে আসেন। কক্ষ থেকে ফিরে এসে মামুন ওই নারীকে তার স্বামী হলের অন্য ফটক দিয়ে বের হবেন বলে মোস্তাফিজুরসহ হলসংলগ্ন জঙ্গলে নিয়ে যায়। পরে সেখানে তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই নারী।
রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলো- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, ৪৬তম ব্যাচের মীর মশাররফ হোসেন হল ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী সাগর সিদ্দিকী, ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাব্বির হাসান সাগর ও ৪৫তম ব্যাচের হাসানুজ্জামান।
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) আব্দুল্লাহিল কাফি বলেন, ভুক্তভোগীর স্বামী রাতেই বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় মোস্তাফিজ ও মামুনুর রশীদকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া বাকি চারজনের বিরুদ্ধে মারধর ও আসামিদের পালাতে সহায়তা করার অভিযোগ আনা হয়েছে।