ম্যানচেস্টার সিটির তারকা আর্লিং হালান্ড ও ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী তারকা কিলিয়ান এমবাপেকে হারিয়ে ২০২৩ ফিফার ‘দ্য বেস্ট’ পুরস্কার জিতেছেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী তারকা দুই তরুণ দুর্দান্ত ফুটবলারকে টপকে বিভিন্ন দেশের ফুটবল দলের কোচ, অধিনায়ক, সাংবাদিক ও ফুটবল ভক্তদের ভোটে এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপের পরের দিন ১৬ ডিসেম্বরের পর থেকে ২০২৩ সালের ২০ আগস্ট পর্যন্ত ফুটবল খেলার পারফরম্যান্স বিবেচনায় এই পুরস্কার প্রদান করে ফিফা। দর্শক-সমর্থকদের চোখে সেরা মেসিই জিতেছেন সেই পুরস্কার।
তবে বর্ষসেরা পুরস্কারটি জয়ের দৌড়ে সবার সামনে ছিলেন ‘ট্রেবল’ জয়ী নরওয়েজিয়ান ম্যানসিটির ফরোয়ার্ড হালান্ড। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুরস্কারটি নিজের ঝুলিতে রাখতে পারেননি তিনি। এই দৌড়ে কঠিন লড়াইয়ে ছিলেন এমবাপেও। তিনিও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছেন।
সেরার পুরস্কার জেতার লড়াইয়ে মেসির সমান ৪৮ পয়েন্ট পেয়েছিলেন হালান্ড। পরে ফিফার পুরস্কার বিতরণী আইন অনুচ্ছেদ ১২ অনুসারে, জাতীয় দলের অধিনায়কদের ভোটে এগিয়ে থাকার কারণে মেসিই পুরস্কারটি জিতেছেন। অপরদিকে ৩৫ পয়েন্ট পেয়েছেন এমবাপে।
কঠিন লড়াইয়ে এমবাপে ও হালান্ডকে হারিয়ে ৮তম ব্যালন ডি’অর পুরস্কার জেতার পর ফিফা দ্য বেস্ট পুরস্কারটিও জিতে নিয়েছেন মেসি। ফলে টানা দ্বিতীয়বারের পুরস্কারটি জিতলেন এই আর্জেন্টাইন। সব মিলিয়ে এই সেরার স্বীকৃতি অষ্টমবারের মতো পেলেন ৩৬ বছর বয়সী ইন্টার মিয়ামি তারকা।
লন্ডনে ফিফা ‘দ্য বেস্ট’ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে থাকতে পারেননি মেসি। সঞ্চালকের ভূমিকায় নামা ফরাসি কিংবদন্তি থিয়েরি অঁরি তাঁর পুরস্কারটি নেন।
বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফর্ম করে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপের শিরোপা এনে দিয়েছেন মেসি। ফ্রান্সকে হারিয়ে শিরোপা পর থেকেই মেসির সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে তার ক্লাব ফুটবল দল প্যারিস সেইন্ট জার্মেইর (পিএসজি)। পরে ফ্রান্সের এই ক্লাব ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারে যোগ দেন মেসি। সেখানে ইন্টার মিয়ামির হয়ে খেলছেন আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর।