শিক্ষার্থীরা নতুন শিক্ষাবর্ষের বই হাতে পেয়েছে দুদিন আগে। এর মধ্যে হঠাৎ করেই তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বইটি তুলে নিচ্ছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। ছাপায় বড় রকমের ভুলের কারণে বইটি তুলে নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে জানান এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম।

জানা যায়, তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের কিছু বইয়ের মলাটের নিচের অংশে অন্য ধর্মের কিছু বিষয় স্থান পায়। সাতক্ষীরা সদর উপজেলা এবং ঠাকুরগাঁওয়ের বেশ কয়েকটি স্কুলে এমন বই পেয়েছে শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি নজরে আসার পর পরই বইটি তুলে নিতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেয় এনসিটিবি।জানতে চাইলে এনসিটিবি চেয়ারম্যান

অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম বলেন, ‘এটা ছাপাখানার ভুল। বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গেই বই তুলে নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। মোট ৪০টি বইয়ে এমন ভুল হয়েছে বলে শোনা গেছে। অন্য কোথাও এ ধরনের ভুল হয়েছে কি না, তা যাচাই করতে শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি নতুন বই ছাপিয়ে দ্রুত শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে।

সাতক্ষীরার কয়েকজন অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সন্তানের বইয়ে দেখার পর অন্য কারও বইয়ে একই ভুল আছে কি না, তা খোঁজখবর নিয়েছেন। পরে আশপাশের অনেকগুলো স্কুলে তারা একই ভুলের খবর পেয়েছেন।

সাতক্ষীরা স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলায় ২৬০টি স্কুলে ভুল ছাপা হওয়া বই বিতরণ করা হয়েছে। এখন সেগুলো তুলে আনা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম ভূঁইয়া বলেন, প্রাথমিকভাবে ৫ থেকে ১০টি স্কুলে এ ধরনের বই পাওয়ার খবর পেয়ে সেগুলো তুলে আনা হয়েছে। তবে মোট বইয়ের সংখ্যা কত, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ডিপিইও) হোসনে ইসায়মিন করিমী বলেন, সাতক্ষীরার সব উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম ধর্মের বই ফেরত নেওয়া হচ্ছে বইয়ে কোনো ভুল আছে কি না দেখার জন্য।

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার মুনছুর রহমান বলেন, ৭৫টি বই বিতরণ করা হয়েছিল। সেগুলো ফেরত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনার আগ পর্যন্ত এগুলো সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে।