ভারতের গুজরাট উপকূলে একটি রাসায়নিকবাহী ট্যাংকারে যে ড্রোন হামলা হয়েছে, সেটি ইরান থেকে ছোড়া হয়েছিল বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই ঘটনা লোহিত সাগরের বাইরেও বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলে ঝুঁকি বাড়ার ইঙ্গিত হিসেবে দেখছে তারা।
গত শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে গুজরাট উপকূলে জাপানি মালিকানাধীন একটি বাণিজ্যিক জাহাজে ড্রোন হামলা চালানো হয়। এতে জাহাজটিতে আগুন ধরে গেলেও তা দ্রুতই নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।
ভারতের উপকূল থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল (৩৭০ কিলোমিটার) দূরে এই ড্রোন হামলা ঘটে। এসময় মার্কিন নৌবাহিনীর কোনো জাহাজ আশপাশে ছিল না।
পেন্টাগন জানিয়েছে, মার্কিন সামরিক বাহিনী জাহাজটির সঙ্গে যোগাযোগে রাখছে। এটি ভারতে তার নির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে এগিয়ে চলেছে।
ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর এটাই প্রথমবার বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার জন্য পেন্টাগন সরাসরি ইরানের দিকে আঙুল তুললো।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এমভি কেম প্লুটো নামের জাহাজটি একটি জাপানি কোম্পানির মালিকানাধীন হলেও সেটি লাইবেরিয়ার পতাকা বহন করছিল এবং এটি পরিচালিত হচ্ছিল একটি ডাচ সংস্থার মাধ্যমে।
সামুদ্রিক নিরাপত্তা সংস্থা আমব্রে বলেছে, ট্যাংকারটি সৌদি আরব থেকে ভারতে যাচ্ছিল।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, যে ডাচ কোম্পানি এমভি কেম প্লুটো পরিচালনা করছে, সেটি ইসরায়েলি শিপিং টাইকুন ইদান ওফারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
এখন পর্যন্ত কেউ এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।
তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে লোহিত সাগর দিয়ে চলাচলকারী একাধিক জাহাজে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে এসব হামলা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা।
এসব হামলার পেছনে ইরানের মদত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্ররা।