সহিংসতা অব্যাহত থাকলে বিএনপির শীর্ষ নেতাসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে গ্রেফতার-অভিযান বন্ধ হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। দাবি করলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হচ্ছে। বিএনপি না আসলেও অন্য দল নিয়ে হবে নির্বাচন। ভোট বানচালের যেকোনো তৎপরতা মোকাবেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত।
এদিকে, বিএনপি অভিযোগ করেছে, গত ২৮ অক্টোবর সমাবেশ ঘিরে ও এর পরস্পরায় সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে শীর্ষ নেতাসহ সারাদেশে এখন পর্যন্ত প্রায় ৮ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যেই নানা দাবিতে অবরোধের মতো কর্মসূচি পালন করছে বিএনপিসহ সরকারবিরোধী দলগুলো।
অবরোধ কর্মসূচির প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, বিএনপির অবরোধে সাধারণ মানুষের সমর্থন নেই। কিন্তু চোরাগুপ্তা হামলা করে সহিংসতা চালাচ্ছে তারা। এর সাথে শীর্ষ নেতাসহ যেই জড়িত থাকুক, গ্রেফতার করা হবে।
তিনি আরও বলেন, কয়েকশ যানবাহন পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। যেগুলো পার্কিং করা ছিল, সেগুলো পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সমাবেশে পুলিশ হত্যা করলো। এর দুঃখ প্রকাশ করলো না, উল্টো কর্মসূচি দিলো। বাস পুড়ানো হচ্ছে, এর দায় কি তারা এড়াতে পারে? পুলিশ ইচ্ছে করে কাউকে গ্রেফতার করে না। যার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে, ওয়ারেন্ট আছে এবং সহিংসতার ভিডিও দেখে তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।
বছরের শেষে স্কুলসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বার্ষিক পরীক্ষা রয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির অবরোধের সমালোচনা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। বললেন, যারা আন্দোলন করছেন, তাদেরও সন্তান রয়েছে। বাসায় গেলে বাচ্চাদের সাথে কথা বলতে হয়। সেজন্য আমরা মনে করি, তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। এসব ছেড়ে দিয়ে নির্বাচনে আসবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, নির্বাচন থামানোর ক্ষমতা বিএনপির নেই। সহিংসতা প্রতিরোধসহ নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তায় প্রস্তুত আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ৪৩টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে। দেখা যাবে এর মধ্যে ৩০টি বা তারও অধিক দল নির্বাচনে আসছে। যেকোনো উপায়ে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করার জন্য আমাদের নিরাপত্তাবাহিনী এখন মাঠে নামবে। আমাদের আনসার বাহিনীর সদস্য আছে প্রচুর, প্রয়োজন হলে তাদের কাজে লাগাবো। প্রয়োজনে নির্বাচন সম্পন্নের জন্য বিজিবি, সেনাবাহিনী তো আছেই।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের সময় ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।