এত সুন্দর শুরু কী করে জলাঞ্জলি দিয়ে এলো শ্রীলঙ্কা! যে দলটির বিনা উইকেটেই ছিল ১২৫ রান, সেই দলটি কিনা ৪৩.৩ ওভারে অলআউট হয়ে গেলো ২০৯ রানেই!
অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের তোপে ৮৪ রানেই ১০টি উইকেট হারিয়েছে লঙ্কানরা। জিততে হলে ২১০ করতে হবে অসিদের।
দুই দলের অবস্থা একইরকম। শ্রীলঙ্কাও তাদের প্রথম দুই ম্যাচ হেরেছে, অস্ট্রেলিয়াও। তাই আজকের ম্যাচটি দুই দলের জন্যই ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।
লখনৌতে গুরুত্বপূর্ণ এই লড়াইয়ে টসভাগ্য সহায় হয়েছে শ্রীলঙ্কার। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দাসুন শানাকার চোটে অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া কুশল মেন্ডিস।
ওপেনিং জুটিতে দারুণ সূচনা পায় লঙ্কানরা। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের পাত্তা না দিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ১২৫ রান তুলে ফেলেন পাথুম নিশাঙ্কা আর কুশল পেরেরা। অবশেষে ২২তম ওভারে এসে উইকেটের দেখা পায় অস্ট্রেলিয়া। জুটি ভাঙেন অসি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।
কামিন্সকে হুক করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ডেভিড ওয়ার্নারের দুর্দান্ত এক ক্যাচ হন নিশাঙ্কা। ৬৭ বলে ৬১ রানের ইনিংসে ৮টি বাউন্ডারি হাঁকান লঙ্কান ওপেনার।
এরপর আরেক সেট ব্যাটার কুশল পেরেরাকে দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন কামিন্স। ৮২ বলে ১২ বাউন্ডারিতে পেরেরার ব্যাট থেকে আসে ৭৮ রান।
উইকেট শিকারের উৎসবে যোগ দেন লেগস্পিনার অ্যাডাম জাম্পা। লঙ্কান অধিনায়ক কুশল মেন্ডিসকে ব্যক্তিগত ৯ রানেই সাজঘরে ফেরান তিনি। পরের ওভারে সাদিরা সামারাবিক্রমাকে (৮) ফেলেন এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে। ৯ রানের মধ্যে ৩টি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা।
৩২.১ ওভারে ৪ উইকেটে শ্রীলঙ্কা ১৭৮ রান তোলার পর বৃষ্টির জন্য কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ ছিল। খেলা শুরু হতে না হতেই আরও দুটি উইকেট হারিয়ে বসেছে লঙ্কানরা।
মিচেল স্টার্কের দুর্দান্ত ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফেরেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা (৭), এরপর রানআউটের কবলে পড়েছেন দুনিথ ওয়াল্লালাগে (২)।
চামিকা করুনারত্নে (২) আর মাহিশ থিকশানাকে (০) এলবিডব্লিউ করেন জাম্পা। লাহিরু কুমারা (৪) হন স্টার্কের বলে বোল্ড। পাঁচ নম্বর ব্যাটার চারিথ আসালাঙ্কা কেবল সতীর্থদের আসা যাওয়া দেখছিলেন।
তিনিই লড়াই করে লঙ্কানদের দুইশ পর্যন্ত নিয়ে গেছেন। শেষ ব্যাটার হিসেবে তিনিই আউট হয়েছেন, ৩৯ বলে ২৫ করে। শেষ উইকেটটি নেন ম্যাক্সওয়েল।
অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে সফল বোলার অ্যাডাম জাম্পা। ৪৭ রানে তিনি নিয়েছেন ৪টি উইকেট। ২টি করে উইকেট শিকার মিচেল স্টার্ক আর প্যাট কামিন্সের।