ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নারী ও শিশুসহ বেসামরিক নাগরিকদের হতাহতের পাশাপাশি ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর অতিরিক্ত অসম বলপ্রয়োগের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ।
একই সঙ্গে গাজায় মানবিক বিপর্যয় এড়াতে সেখানে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর সুযোগ করে দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিও আহ্বান জানানো হয়েছে।
রোববার (১৫ অক্টোবর) এক বার্তায় এ নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এরআগে পররাষ্ট্রন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস. ওয়াই. রমাদান।
দুপক্ষের বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া বার্তায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মানবিক বিপর্যয় রোধে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তার অনুমোদনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণায় বলছে, মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি ও ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিরসনে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের ওপর ভিত্তি করে ‘দ্বি-রাষ্ট্রীয়’ তত্ত্বের ভিত্তিতে কাজ করতে বিশ্ব সম্প্রদায়কে আহ্বান জানানো হয়েছে।
গত ৬ অক্টোবর ভোরে ইসরায়েলে সশস্ত্র হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। হামাসের হামলায় ইসরায়েলে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৩০০ জনের প্রাণহানি এবং আহত হয়েছেন সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ।
অন্যদিকে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২১৫ জনে। তাদের মধ্যে শিশু অন্তত ৭০০ জন। হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৮ হাজার ৭১৪ ফিলিস্তিনি।
ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফার বরাতে রোববার (১৫ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় গাজা সিটিতে ২৬০ জন, উপত্যকার মধ্যাঞ্চলীয় দেইর আল-বালাহতে ৮০ জন এবং উত্তরাঞ্চলীয় জাবালেয়া শরণার্থী শিবিরে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৪০ জন ফিলিস্তিনি। এছাড়া বেইত লাহিয়া শহরে ১০ জন এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিসে নিহত হয়েছেন আরও ২০ জন।