ভারতের মহারাষ্ট্রের একটি সরকারি হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ নবজাতকসহ ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালের ডিন জানিয়েছেন, ওষুধ এবং কর্মী সংকটের কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। নানদেদস শানকারাও চাভান সরকারি হাসপাতালের ডিন বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২৪ জনের মধ্যে ১২ জন প্রাপ্তবয়স্ক। তারা বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। তবে এদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিল সাপে কাটা রোগী। খবর এনডিটিভির।

তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ওই হাসপাতালে ছয় মেয়ে শিশু এবং ছয় ছেলে শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত আরও ১২ জন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি মারা গেছেন। তিনি বলেন, বেশ কয়েকজন কর্মী বদলি হওয়ার কারণে কিছু অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

তিনি জানান, অনেক দূর-দূরান্ত থেকে রোগীরা সেখানে চিকিৎসা নিতে আসেন। কখনো কখনো রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়। কিন্তু হাসপাতালে কর্মী সংকট থাকায় ঠিকভাবে চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

তিনি বলেন, এখানে হাফকাইন নামের একটি ইনস্টিটিউট আছে। তাদের কাছ থেকে ওষুধ কেনার কথা থাকলেও তা হয়নি। তবে আমরা স্থানীয়ভাবে ওষুধ কিনেছি এবং রোগীদের সেগুলো সরবরাহ করছি।

তবে ওষুধ এবং তহবিলের ঘাটতি রয়েছে বলে ডিন যে দাবি করেছেন তা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করেছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ রয়েছে। হাসপাতালের তহবিলে ১২ কোটি রুপি আছে। চলতি আর্থিক বছরের জন্য ৪ কোটি রুপি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। রোগীদের প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এখানে ১২ জন প্রাপ্তবয়স্ক রোগী (পাঁচজন পুরুষ এবং সাতজন নারী) এবং ১২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে চারজন হৃদরোগে, একজন বিষক্রিয়ায়, একজন গ্যাস্ট্রিকের কারণে, দুজন কিডনি রোগে, একজন প্রসূতিজনিত জটিলতায় এবং তিনজন দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।

এদিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব মৃত্যুকে দুর্ভাগ্যজনক বলে অভিহিত করে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে মুম্বাইতে বলেন, হাসপাতালে কী ঘটেছে সে সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে চাওয়া হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে গত আগস্টে থানেতে অবস্থিত ছত্রপতি শিভাজি মহারাজ হসপিটালে ২৪ ঘণ্টায় ১৮ রোগীর মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে ১২ জনই ছিল পঞ্চাষোর্ধ্ব।

বিজ্ঞাপন