জাতীয় নির্বাচনের আগে আন্দোলনের নামে কোনো ধরনের অগ্নিসংযোগ, জ্বালাও-পোড়াও, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বা সহিংসতা করলে রেহাই দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিরোধীদের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আন্দোলনে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। সন্ত্রাসবাদে অগ্নিসংযোগ করে মানুষ হত্যা এবং দেশের সম্পত্তি নষ্ট করাই তাদের আন্দোলন। এর আগে ২৯ জন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে। দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের জীবন নিয়ে এমন কোনো চেষ্টা করা হলে কোনো ক্ষমা করা হবে না।
শেখ হাসিনা বলেন, গণতন্ত্রের কথা বলা বিএনপির পক্ষে শোভা পায় না। কারণ, তারা জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে ধোকাবাজি খেলেছে। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি একটি প্রহসনমূলক নির্বাচন করে এবং নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার দেড় মাসের মধ্যেই দেশের জনগণ তাদের ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে। দেশের জনগণ কখনোই ভোট কারচুপিকারীদের ক্ষমতায় বসতে দেয় না।
প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার নিয়ে ভোটার তালিকা তৈরি করে এবং সেই তালিকা দিয়ে নির্বাচন করার চেষ্টা করেছিল। উল্টো আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রাম করেছেন। তাদের অনেকেই জীবন উৎসর্গ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী প্রবাসী বাংলাদেশিদের ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান জানান এবং ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের অন্তর্ভুক্ত প্রতিটি প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তাদের অবদানের কথা স্মরণ করেন। চলমান ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির পটভূমিতে অনুমোদন এবং পাল্টা নিষেধাজ্ঞায় তিনি খাদ্যের জন্য অন্যের ওপর নির্ভরতা কমাতে সবাইকে আবাদ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, প্রতি ইঞ্চি জমি ব্যবহার করে আপনি যা পারেন তা উৎপাদন করেন।
বাংলাদেশকে আর্থ-সামাজিকভাবে উন্নত করতে তার সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল ও ডিজিটাল দেশে রূপান্তরিত করেছি এবং ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছি।