চোখের পেছনে ব্যথা ও তীব্র মাথাব্যথার সমস্যায় হয়তো অনেকেই ভোগেন। তবে সাধারণ সমস্যা ভেবে বেশিরভাগ মানুষই এসব লক্ষণ এড়িয়ে যান। তবে প্রায়ই যদি এমনটি ঘটে তাহলে কিন্তু সতর্ক হতে হবে। কারণ চোখের পেছনে ব্যথা গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার সংকেত দিতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অবস্থা ক্লাস্টার মাথাব্যথার লক্ষণ হতে পারে। টেনশন হেডেক, সাইনাস হেডেক, মাইগ্রেন, হাইপারটেনশন হেডেক ও ক্লাস্টার হেডেকসহ বিভিন্ন ধরনের মাথাব্যথায় ভোগেন অনেকেই।

এ বিষয়ে ভারতের পাতিয়ালার মনিপাল হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. সতবন্ত সিং সচদেভা জানান, বিভিন্ন ধরনের মাথাব্যথার মধ্যে ক্লাস্টার মাথাব্যথা অত্যন্ত বেদনাদায়ক।

এই ধরনের মাথাব্যথা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে, হঠাৎ করেই এক চোখের চারপাশে বা পেছন থেকে তীব্র ব্যথার সৃষ্টি হয়। যা যন্ত্রণাদায়কও হতে পারে। এই ব্যথা অনেকটা ধারালোর মতো।

ক্লাস্টার মাথাব্যথা ঘন ঘন হতে পারে ও গুরুতর ক্ষেত্রে কয়েক মাস এমনকি বছর ধরেও চলতে পারে। যা একজন ব্যক্তির জীবনযাত্রার মানকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করে।

ক্লাস্টার মাথাব্যথার অন্যান্য লক্ষণগুলো হলো-

নিয়মিত টাইমিং

ক্লাস্টার মাথাব্যথা প্রায়শই একটি সুনির্দিষ্ট টাইমিং প্যাটার্ন অনুসরণ করে। এই মাথাব্যথা প্রতিদিন বা রাতে একই সময়ে ঘটে। এই পূর্বাভাসযোগ্য চক্র ঘুম ও দৈনন্দিন রুটিন ব্যাহত হতে পারে।

স্বয়ংক্রিয় লক্ষণ

ডা. সচদেবার মতে, এই লক্ষণগুলোর সঙ্গে আক্রান্ত পাশে চোখের লালভাব ও পানি পড়া, চোখের পাতা ঝুলে যাওয়া বা ফুলে যাওয়া, নাক বন্ধ হওয়া বা নাক দিয়ে পানি পড়া, ঘাম হওয়া বা মুখের ফ্লাশ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

অস্থিরতা ও উত্তেজনা

ক্লাস্টার মাথাব্যথার কারণে অস্থিরতা ও উত্তেজনা অনুভব করেন আক্রান্তরা। যা তাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলে।

আলো ও শব্দের প্রতি সংবেদনশীলতা

ক্লাস্টার মাথাব্যথায় আক্রান্তদের অনেকেই আলো (ফটোফোবিয়া) ও শব্দের (ফোনোফোবিয়া) প্রতি সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। উজ্জ্বল আলো বা উচ্চ শব্দ তাদের মাথাব্যথা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।

এই মাথাব্যথার চিকিৎসার বিষয়ে ডা. সচদেবা জানান, ক্লাস্টার মাথাব্যথার চিকিৎসা হিসেবে রোগীর উচ্চ-প্রবাহের অক্সিজেন থেরাপি ও ওষুধের পরামর্শ দেওয়া হয়।