বহু প্রতীক্ষিত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে (ঢাকা উড়ালসড়ক) যান চলাচল শুরু হয়েছে। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা থেকে শুরু হয় যান চলাচল।
বিমানবন্দরের কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত যাওয়া যাচ্ছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে। প্রথম দিনে এক্সপ্রেসওয়েটি রয়েছে ব্যক্তিগত গাড়ির দখলে।
সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কয়েকটি বাস দেখা গেছে উড়ালসড়কে। যার মধ্যে একটি বিআরটিসির যাত্রীবাহী বাস, আর দুটি সরকারি অফিস কর্মচারীদের বহনকারী বাস। এছাড়া বেশকিছু কাভার্ডভ্যানও ব্যবহার করেছে উড়ালসড়কটি।
দুর্ঘটনা কমাতে উড়ালপথটিতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে মোটরসাইকেল ও সিএনজি অটোরিকশা। তবে একাধিক সিএনজি অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল উড়ালসড়কে ওঠার চেষ্টা চালায়। স্বেচ্ছাসেবক ও পুলিশের কারণে র্যাম্প পার হতে পারেনি এসব যানের চালক।
স্বেচ্ছাসেবক নুর হোসেন বলেন, সকাল থেকে মাত্র ২-৩টি বাস উঠেছে। প্রায় সবগুলোই সরকারি বাস। অন্য বাস ওঠেনি। সিএনজি ও মোটরসাইকেল ওঠার চেষ্টা করছে। তবে আমরা তাদের নামিয়ে দিচ্ছি। তারা হয়তো জানে না, ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়ে যাবে।
মোটরসাইকেল চালক রিয়াদুল বলেন, আমাদের সঙ্গে অবিচার করা হয়েছে। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় এ পথে মোটরসাইকেল না ওঠানোর যুক্তি হাস্যকর। কেননা গাড়িও তো দুর্ঘটনা ঘটাতে পারবে। আমাদের খারাপ লাগছে।
তিনি বলেন, যে গতি আছে সেই গতি আমরা মেইনটেইন করবো। দু-চারটা খারাপ চালকের জন্য আমরা বঞ্চিত হলাম।
বেসরকারি অফিসের কর্মচারী রাকিব হাসান বলেন, মাত্র ছয় মিনিটে এয়ারপোর্টে থেকে বনানী পৌঁছেছি। অন্যসময় এক থেকে দেড় ঘণ্টা লাগতো।