বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সরানোর আদেশ দেওয়াকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে মন্তব্য করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
রিজভী বলেন, একপক্ষের বক্তব্য না শুনেই ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে বাংলাদেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দলের প্রধান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের দুজন বিচারপতির বেঞ্চ। আদেশে বিটিআরসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, তারেক রহমানের সাম্প্রতিক দেওয়া সব বক্তব্য অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সরাতে হবে। বিচাপতিদ্বয়ের এই আদেশ রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সম্পূর্ণভাবে হরণ করে।
বিচার ব্যবস্থার প্রতি জনগণের বিন্দুমাত্র আস্থা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতির কাছে অন্য আদালতে রিটটি বদলীর জন্য আবেদন করা হলেও সেটিকে গ্রাহ্য না করে আদালতের আদেশ দেওয়া সম্পূর্ণরূপে ন্যায়বিচারকে পদদলিত করা। আদালতের এ ধরনের আদেশের নামে নিকৃষ্ট প্রহসন করা হয়েছে।
রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, আদালতের এ ধরণের আদেশ ফ্যাসিজমের আরেকটি নগ্ন বহিঃপ্রকাশ। যে দেশে আইনের শাসন নেই, যে দেশে ফ্যাসিবাদ সর্বত্র পরিব্যাপ্ত সেসব দেশ ছাড়া আদালতের এহেন বিবেকহীন পক্ষপাতমূলক রায় প্রদান নজিরবিহীন। আমরা উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের মুখ থেকে শুনতে পেয়েছি- তারা না কি শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ। আজ সকালে হাইকোর্টের দুজন বিচারপতির আদেশেও সেটি নগ্নভাবে ফুটে উঠেছে।
রিজভী আরও বলেন, আওয়ামী সরকার যেহেতু বিরোধীদলের কণ্ঠস্বরকে চেপে রাখতে চায়, সে কারণেই আদালতকে ব্যবহার করে বিরোধীদলের রাজনীতিকেই নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছে তারা।