বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাম্প্রতিক সব বক্তব্য অনলাইন থেকে সরানোর নির্দেশ দেওয়াকে কেন্দ্র করে হাইকোর্টের এজলাস কক্ষে বিএনপিপন্থি ও আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের মধ্যে হইচই ও হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। হট্টগোলের মধ্যে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের ২ বিচারপতি এজলাস ত্যাগ করেন। অন্যদিকে বিচারকদের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।

এসময় কোর্টের শুনানিতে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে বিচারপতিরা এজলাস ছেড়ে খাস কামরায় চলে যান। বিচারপতিরা চলে যাওয়ার সময় বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা শেইম-শেইম বলে চিৎকার করতে থাকেন। এরমধ্যে বিচারপতিদের লক্ষ্য করে ফাইল ছোড়া হয়।

তারেকের বক্তব্য সরানোর নির্দেশনার বিষয়টি শুনানির সময় সোমবার (২৮ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এমন ঘটনা ঘটে।

তখন এজলাস কক্ষে বিএনপিপন্থি শতাধিক আইনজীবী অবস্থান করছিলেন। এদিকে তারেক রহমানের বক্তব্য সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানির জন্য এজলাস কক্ষের বাইরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

এর আগে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত রুলে সম্পূরক আবেদনের শুনানি হয়। আইনজীবী কামরুল ইসলাম, সানজিদা খানম, অ্যাডভোকেট নাসরিন সিদ্দিকা লিনা এ আবেদন করেন। শুনানি শেষে তারেক রহমানের সাম্প্রতিক দেওয়া সব বক্তব্য অনলাইন থেকে সরানোর জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)-কে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এরই মধ্যে হাইকোর্টের এই বেঞ্চের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির কাছে অনাস্থার আর্জি জানিয়েছে বিএনপির আইনজীবীরা।

গত বুধবার (২৩ আগস্ট) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে পক্ষভুক্তির এ আবেদন উপস্থাপন করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি ও বিএনপির আইনজীবীদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল জব্বার ভূইয়া। ওইদিন শুনানি নিয়ে ওই আবেদন খারিজ করেন হাইকোর্ট।