বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্তি এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আগামীকাল শুক্রবার (২৫ আগস্ট) ঢাকায় কালো পতাকা মিছিল করবে বিএনপি। সরকারবিরোধী বিভিন্ন দল, জোট ও বিএনপির সমমনারাও এ কর্মসূচি পালন করবে।

বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে পৃথক কালো পতাকা মিছিল শুক্রবার (২৫ আগস্ট) একই সময়ে বিকেল ৩টায় শুরু হবে। জোট শরিক ও সমমনা দলগুলোও কাছাকাছি সময়ে এ কর্মসূচি পালন করবে।

বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে শ্যামলী লিংক রোড থেকে মোহাম্মপুর বাস বাসস্ট্যান্ড এবং মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে দয়াগঞ্জ পর্যন্ত কালো পতাকা গণমিছিল হবে।

একই দিন এ কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে থাকবে সরকারবিরোধী বিভিন্ন দল, জোট ও বিএনপির সমমনারাও। এরমধ্যে গণতন্ত্র মঞ্চ শাহবাগ, ১২ দলীয় জোট বিজয়নগর, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট পুরানা পল্টন, গণফোরাম ও পিপলস পার্টি আরামবাম, এলডিপি পূর্ব পান্থপথ, লেবার পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ (রেজা কিবরিয়া), সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ জাতীয় প্রেস ক্লাব, গণঅধিকার পরিষদ (নূর) ফকিরাপুল কালভার্ট রোড, এনডিএম মালিবাগ, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য সেগুনবাগিড়া, এবি পার্টি বিজয়নগর শ্রমভবনের সামনে, জনতার অধিকার পার্টি বিজয়নগর পানি ট্যাংকের সামনে থেকে কালো পতাকা মিছিল বের করবে। এ দলগুলোর কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচিও দুপুরের পরপরই শুরু হবে বলে জানা গেছে।

গত মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) রাতে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দুদিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এরমধ্যে শুক্রবার (২৫ আগস্ট) ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণে কালো পতাকা মিছিল এবং পরদিন শনিবার (২৬ আগস্ট) দেশের সব মহানগরে গণমিছিল করবে বিএনপি।

গত ১২ জুলাই নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ থেকে সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা দেয় বিএনপি। এরপর থেকে এক দফা দাবি আদায়ে রাজপথে ধারাবাহিক আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছে দলটি। এসব কর্মসূচিতে সরকারবিরোধী জোটগুলোও সংহতি জানায়।

এক দফা ঘোষণার পর গত ২৮ জুলাই ঢাকায় মহাসমাবেশ এবং ২৯ জুলাই ঢাকার সব প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী শুক্র ও শনিবার নতুন কর্মসূচি পালন করবে দলটি।

বিএনপি বলছে, দেশে দলীয় সরকারের অধীনে কোনোভাবেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না। এ কারণে বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্তির মধ্য দিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চায় দলটি। তবে সরকার তথা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনা সরকারের অধীনেই হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচন ইস্যুতে দুই বৃহৎ রাজনৈতিক দলের এই বিপরীতমুখী অবস্থান দেশের রাজনীতিতে উত্তাপ ছড়াচ্ছে।