নাশকতার অভিযোগে মতিঝিল থানার মামলায় জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ ৯৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। অভিযোগ গঠনের ফলে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।

বুধবার (২৩ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম আসামিদের অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। একই সঙ্গে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৭ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।

মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি হামিদুর রহমান আজাদও রয়েছন।

আদালত আজ আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট এস এম কামাল উদ্দিন, আব্দুর রাজ্জাকসহ কয়েকজন আইনজীবী শুনানি করেন। শুনানিতে তারা বলেন, একই দিনের ঘটনায় এসব আসামির বিরুদ্ধে চারটি মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলা প্রমাণে পর্যাপ্ত ভিডিও ও অডিও ফুটেজ নেই। যদি এই মামলার আসামি ডা. শফিকুর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন- এমন কোনো ভিডিও ফুটেজ কেউ দেখাতে পারেন তাহলে তাকে এক কোটি টাকা পুরস্কার দেবো। সম্পূর্ণ রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছে।চার্জ গঠনের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাবো।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান হিরোন শুনানিতে বলেন, আসামিরা দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য মতিঝিলের টয়নবি সার্কুলার রোড়ে অগ্নিসংযোগ ও গাড়ি ভাঙচুর করেন। তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনার সত্যতা পেয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আমরা আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করতে শুনানি করি। শুনানি শেষে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ৫ নভেম্বর জামায়াত-শিবিরের ২০০-৩০০ নেতাকর্মী বেআইনিভাবে জনতাবদ্ধ হয়ে দেশের মধ্যে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি ও আটক শীর্ষ নেতাদের মুক্তির দাবিতে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর করে। জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির লক্ষ্যে এ ধরনের কাজ করেন। দুটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেন তারা। এ ঘটনায় মিজানুর রহমান সুমন বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় মামলা করেন।

অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় ২৭ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এছাড়া মামলাটি বিচারের জন্য ১৪১ জনকে সাক্ষী করা হয়।

তদন্ত শেষে মোট ৯৭ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আউয়াল হোসেন। আসামিদের মধ্যে আব্দুর জব্বার মারা গেছেন।