দলীয় কর্মসূচি ঘিরে রাজধানীতে ভাঙচুর ও নাশকতা সৃষ্টির পৃথক দুই মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমেদকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, বিএনপির ডাকা গত ২৮ জুলাইয়ের মহাসমাবেশের কোনো অনুমতি ছিল না। মহাসমাবেশের দিন রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। ডিবিপ্রধান আরও বলেন, বিএনপির ডাকা অবৈধ সমাবেশের পরদিন অনুমতি ছাড়াই অবস্থান কর্মসূচির নামে যাত্রাবাড়ী এলাকার রাস্তা বন্ধ করে যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করলে পুলিশ বাধা দেয়। এসময় ছাত্রদল, যুবদল ও বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালান। পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়ে রক্তাক্ত করে এবং তিনটি বাসে আগুন দেয়।

তিনি জানান, এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় চারটি মামলা রুজু হয়েছে। এরমধ্যে দুটি মামলার ১ নম্বর আসামি সালাহ উদ্দিন। অন্য দুটি মামলায়ও তিনি এজাহারভুক্ত আসামি। এজন্য ডিবি ওয়ারী বিভাগ তাকে গ্রেফতার করেছে। আমরা তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছি। এর আগে দুপুরে সালাহ উদ্দিন আহমেদের ছেলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে আদালতে হাজিরা দিয়ে বাসায় ফেরার পথে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী (হানিফ উড়ালসড়ক সড়ক) থেকে তার বাবাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তুলে নিয়ে গেছে।

এদিকে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা দাবি করেছেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালত থেকে ফেরার পথে সালাহ উদ্দিন আহমেদ ছাড়া আরও ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিএনপিপন্থি আইনজীবী রোকনুজ্জামান সুজা এমন দাবি করে জানান, বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) আগাম জামিন নিতে উচ্চ আদালতে যান সালাহ উদ্দিন। সেখান থেকে ফেরার পথে তিনি ও তার গাড়িচালক মো. কাজলসহ সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়।

তাদের সঙ্গে থাকা ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির নেতা ও যাত্রাবাড়ী থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান ভান্ডারি বলেন, এদিন সালাহ উদ্দিনের সঙ্গে আগাম জামিন নিতে আদালতে যান ৬২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্যসচিব ঢাকাইয়া শাহীন, যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আলম মুন্সী, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবির হোসেন মনির, ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের যুগ্ম আহ্বায়ক নিয়ামুল হক ও সদস্য মো. নয়ন। তবে সালাহ উদ্দিন আহমেদ ছাড়া অন্য ছয়জনকে গ্রেফতারের সত্যতা বিষয়ে গোয়েন্দা পুলিশের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।