রাজধানীর জিরো পয়েন্টে সমাবেশ করছে আওয়ামী লীগ। নয়াপল্টনে বিএনপি। কর্মদিবসে দেশের বড় দুই দলের সমাবেশকে ঘিরে মিছিল-স্লোগানে মুখরিত অফিসপাড়াও। সমাবেশে আসা নেতাকর্মীদের মিছিল, রিজার্ভ বাস ও পিকআপে একাকার গুলিস্তান, পল্টন, প্রেস ক্লাব, দোয়েল চত্বর, মৎস্যভবন, কাকরাইল ও আশপাশের এলাকা। এমনকি ফুটপাতও তাদের দখলে। নেতাকর্মীদের অনেকে ফুটপাতে হাঁটছেন।
বুধবার (১২ জুলাই) সকাল থেকে ঢাকায় দুই দলের সমাবেশের আমেজ ছিল। দুপুর নাগাদ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও নয়াপল্টনে বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের দখলে চলে যায়। দুপুরের পরও বিভিন্ন সড়কে নেতাকর্মীদের বাসে, পিকআপে ও হেঁটে মিছিল নিয়ে আসতে দেখা গেছে। অনেক জায়গায় রাস্তায় যানজটে গাড়ি আটকে যাওয়ায় তাদের ফুটপাত ধরে হেঁটে আসতেও দেখা গেছে।
দুপুর ৩টার পর গুলিস্তানমুখী সব সড়ক মানুষ আর যানবাহনে আটকে যাওয়ায় আশপাশে জটলা করে দাঁড়িয়ে নেতাকর্মীদের স্লোগান দিতে দেখা গেছে। বিশেষ করে, দোয়েল চত্বরে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের সমর্থকদের জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে দেখা গেছে। একই রকম চিত্র ছিল শিক্ষাভবনের সামনেও। মৎস্যভবন ও কাকরাইল এলাকায়ও একই চিত্র চোখে পড়েছে।
রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে সংবাদ সংগ্রহের জন্য অবস্থান করা প্রতিবেদকরা জানিয়েছেন, দৈনিক বাংলা, মতিঝিল ও বঙ্গভবন মোড়েও নেতাকর্মীদের ভিড় দেখা গেছে। জটলা করে দাঁড়িয়ে তারা স্লোগান দিচ্ছেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পূর্ব-ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নয়াপল্টনে বিএনপি ও বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগের সমাবেশ চলছে।
বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী। ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপসহ শীর্ষ নেতারা বক্তব্য রেখেছেন। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এতে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করবেন।
অন্যদিকে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ করছে বিএনপি। এতে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সভাপতিত্ব করছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সভাপতি আমানউল্লাহ আমান। এ সমাবেশ থেকে বিএনপি সরকার পতনে এক দফার চূড়ান্ত আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দেবেন।