উচ্চ রক্তচাপ শারীরিক ও মানসিক উভয় স্বাস্থ্যকেই প্রভাবিত করে। একে ‘নীরব ঘাতক’ও বলা হয়। বর্তমানে অনেক কমবয়সীদের মধ্যেও বাড়ছে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা। এখন আর বয়স্কদের রোগ নয় এটি। তবুও গুরুতর এই রোগ নিয়ে কারও তেমন মাথাব্যথা নেই, অর্থাৎ সচেতন নন কেউই।

হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ কি?

উচ্চ রক্তচাপ তখনই ঘটে, যখন রক্তচাপ অস্বাভাবিকভাবে অবাঞ্ছিত মাত্রায় বেড়ে যায়। এটি ধমনীর দেয়ালের বিরুদ্ধে রক্তের দ্বারা প্রয়োগ করা বর্ধিত শক্তি।

মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন ধিরুভাই আম্বানি হাসপাতালের কার্ডিওলজির পরামর্শক ডা. সুনীল ওয়ানির মতে, স্বাভাবিক রক্তচাপ ১২০/৮০ এমএম এইচজি।

রক্তচাপ যখন বেড়ে ১৩০/৮০ এমএম এইচজি বা ১৪০/৯০ এমএম এইচজি এর বেশি মাত্রা হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। যেহেতু বেশিরভাগ সময়, উচ্চ রক্তচাপের তেমন কোনো গুরুতর লক্ষণ প্রথমদিকে দেখা যায় না তাই একে ‘নীরব ঘাতক’ বলা হয়।

উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ কী কী?

১. মাথাব্যথা: কখনো কখনো ঘুমের অভাবে মাথাব্যথা হতে পারে। তবে আপনি যদি খুব ঘন ঘন মাথাব্যথায় ভোগেন তাহলে হতে পারে এটি উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ।

২. নাক দিয়ে রক্ত পড়া: যদি সাইনোসাইটিসের কারণে আপনার নাক দিয়ে রক্ত না পড়ে, তাহলে এটি উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ হতে পারে। তাই এ লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত রক্তচাপ পরিমাপ করা জরুরি।

৩. শ্বাসকষ্ট: অল্প কাজেই হাঁপিয়ে পড়া বা সিঁড়ি ভাঙতে হঠাৎ করেই কষ্ট হওয়া ও শ্বাসকষ্ট অনুভব করা কিন্তু হতে পারে উচ্চ রক্তচাপের একটি ইঙ্গিত।

৪. অনিয়মিত হৃদস্পন্দন: অ্যারিথমিয়া বা অনিয়মিত হৃদস্পন্দন হাইপারটেনশনের রোগীদেরও হতে পারে। এটি অনিয়ন্ত্রিত চাপের কারণে ঘটে, যেখানে রক্ত ধমনীর দেয়ালের বিরুদ্ধে বল প্রয়োগ করে।

৫. বুকে ব্যথা: উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের শ্বাসকষ্টের সঙ্গে সঙ্গে বুকে ব্যথাও হতে পারে। আর এই লক্ষণকে অবহেলা করলে কিন্তু বিপদ ডেকে আনবেন। গুরুতর ক্ষেত্রে এই ব্যথা হার্ট অ্যাটাকের ইঙ্গিতও হতে পারে।

উচ্চ ব্লাড প্রেশার বা হাই বিপি মস্তিষ্ক, হার্ট, কিডনি ও রক্তনালির ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। রক্তচাপের উপসর্গগুলোকে উপেক্ষা করা মারাত্মক হতে পারে। এর সঠিক চিকিৎসা না হলে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকসহ হার্ট ফেইলিওর ও কিডনি ফেইলিওর পর্যন্ত হতে পারে।