একসময় মানুষের দাঁত ব্রাশ করার প্রবণতা না থাকলেও এখন কম-বেশি সবাই ব্রাশ করার দিকে ঝুঁকছেন। তবে সঠিক নিয়মে দাঁত ব্রাশ না করার কারণে অনেকেই পাচ্ছেন না সুফল।

আজ আপনাদের জানাবো সঠিক নিয়মে দাঁত ব্রাশ করার কলাকৌশল—

১. আপনি একটি নরম, সম্ভব হলে ছোট টুথব্রাশ ও ফ্লোরাইড জাতীয় টুথপেস্ট বেছে নিন।

২. অল্প পরিমাণ টুথপেস্ট ব্রাশে লাগিয়ে একটু ভিজিয়ে নিন।

৩. ব্রাশ এমনভাবে ধরুন, যাতে অ্যাংগেলটা হয় ৪৫ ডিগ্রি পরিমাণে।

৪. ওপর থেকে নিচ এবং নিচ থেকে ওপরে ব্রাশ করুন।

৫. সামনে-পেছনে দাঁত ব্রাশ করলে দাঁতের গোড়া ক্ষয় হয়ে যেতে পারে।

৬. ওপর এবং নিচের মাড়ির প্রতিটি অংশে যাতে ব্রাশ পৌঁছতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখুন।

৭. পেছনের দাঁতের বাইটগুলোতে ওপর-নিচ করে আলতোভাবে ব্রাশ করুন।

৮. একই সঙ্গে সামনের দাঁতগুলোও ভালোভাবে ব্রাশ করে নিন।

৯. সব সময় একই পেস্ট ও ব্রাশ ব্যবহার করবেন না। কেননা একই পেস্ট ব্যবহার করলে মুখে যে জার্ম থাকে, তা পেস্টের সঙ্গে সহনীয় হয়ে যায়।

১০. অন্তত ২-৩ মাস পর টুথব্রাশ পরিবর্তন করুন। দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে ব্রাশের শলাকা বেঁকে যায় বা ভেঙে যায়।

১১. প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে এবং সকালে নাস্তা করার পরে ব্রাশ করুন।

১২. মিষ্টি বা আঠালো জাতীয় খাবার খাওয়ার পর ব্রাশ করে নিতে পারেন।

১৩. শিশুদের ব্রাশ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। সঠিক নিয়মে ব্রাশ করার কৌশল বুঝিয়ে দিন। সম্ভব হলে নিজ হাতে ব্রাশ করিয়ে দিন।

১৪. ব্রাশ করার ক্ষেত্রে তড়িগড়ি না করে একটু সময় নিয়ে ব্রাশ করুন। তবে ২-৩ মিনিটের মধ্যে করবেন।

দাঁত আপনার মূল্যবান সম্পদ। তাই তার যত্ন নিন, দাঁত আপনার যত্ন নেবে। মনে রাখবেন, বাজারের সস্তা পেস্ট বা ব্রাশ ব্যবহার না করে ডেন্টিস্টদের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করুন। সুস্থ থাকুন আপনি, সুস্থ থাকুক আপনার পরিবার।