দাঁতের সমস্যায় কমবেশি সবাই ভোগেন। যে কোনো কারণে দাঁতে ব্যথা হতে পারে যেমন- দাঁতে কোনো ছিদ্র বা ক্যারিজ হলে কিংবা দাঁতের ক্রাউন (উপরের অংশ) ভেঙে গেলে।

এছাড়া বিভিন্ন কারণে আঘাত পেয়ে নড়ে গেলে, দাঁতের পালপ/মজ্জা নষ্ট বা আক্রান্ত হলে কিংবা দাঁতে ক্ষয় হলে ব্যথা বা যন্ত্রণা অনুভূত হতে পারে ।

প্রথমত নিয়মিত ব্রাশ না করা। আর করলেও সঠিক নিয়মে ব্রাশ না করার অভ্যাস। এছাড়া মিষ্টি বা আঁঠালো, ভাজাপোড়া, অতিরিক্ত কোমল পানীয় পান করার কারণে দাঁতে প্ল্যাক বা ক্যালকুলাস জমে আস্তে আস্তে ক্যারিজ সৃষ্টি হতে পারে। যা প্রথমে ব্যথা অনুভব না হলেও ধীরে ধীরে কম ব্যথা থেকে শুরু করে তীব্র ব্যথায় পরিণত হয়।

সমস্যা থেকে পরিত্রাণের উপায় কী?

প্রথমেই বলবো প্রতিকারের থেকে প্রতিরোধই উত্তম। তাই রাতে ঘুমানোর আগে ও সকালে নাস্তা করার পরে নিয়মিত দু’বেলা ব্রাশ করতে হবে।

মিষ্টি বা আঁঠালো খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেশি করে পানি পান করতে হবে। যতটা সম্ভব ভাজাপোড়া, কোমল পানীয়, অ্যালকোহল ও পান খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে।

হঠাৎ ব্যথা হলে দ্রুত যা করবেন

১. লবণ মিশ্রিত কুসুম গরম পানি দিয়ে ৪০ সেকেন্ড থেকে ১ মিনিট ধরে কুলকুচি করুন। দিনে ৩/৪ বার করতে হবে।

২. আপনার ব্যবহৃত ঘরে যে পেস্ট আছে সেটাও আসতে পারে ব্যথা কমানোর কাজে। তবে অবশ্যই যে পেস্টে লবণের মিশ্রণ আছে সেই পেস্ট কাজে আসবে এই টোটকায়।

হাতের আঙুলে নিয়ে ব্যথা স্থানে পেস্ট লাগিয়ে রাখুন। তারপর ২/৩ মিনিট পরে ব্রাশ করে নিন। ব্যথা থেকে খানিকটা আরাম পাওয়া যাবে।

৩. যেহেতু লবণে অ্যান্টিসেপ্টিক ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান আছে, সেহেতু ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। ফলে ব্যথা থেকে কিছুটা আরাম পাওয়া যায়।

মনে রাখতে হবে, এই টোটকা কেবল সাময়িক ব্যথা কমানোর জন্য। স্থায়ী সমাধানের জন্য যত দ্রুত সম্ভব আপনার নিকটতম ডেন্টিস্টের কাছে যেতে হবে।