ফ্রিজে দীর্ঘদিন মাছ-মাংস, ডিম কিংবা দুধ সংরক্ষণ করা যায় একথা সবারই জানা। তবে দীর্ঘদিন বলতে ঠিক কতদিনকে বোঝায়, সে বিষয়ে হয়তো অনেকেরই ধারণা নেই।
প্রতিটি খাবারই একটি নির্দিষ্ট সময়কাল পর্যন্ত ভালো থাকে। তাই খাবার সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরি, না হলে স্বাস্থ্যে এর গুরুতর প্রভাব পড়তে পারে।
অন্যান্য খাবারের চেয়ে মাংস সংরক্ষণে সবারই সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। এক্ষেত্রে ফুড সেফটি বা খাদ্যের নিরাপত্তা বজায় রাখতে সঠিক উপায়ে সংরক্ষণ করতে হবে।
গ্রাউন্ড মিট বা মাংসের কিমা ১-২ দিনের জন্য ফ্রিজের নর্মালে রাখা যায়। আর হিমায়িত অবস্থায় ৩-৪ চার মাস রাখা যায়।
লাল মাংস
গরু বা খাসির লাল মাংস ৫ দিন পর্যন্ত ফ্রিজের নরমালে রাখতে পারেন। আর ৪-১২ মাসের জন্য হিমায়িত অবস্থায় রাখতে পারবেন মাংসগুলো।
তবে রান্না করা মাংস ফ্রিজের নরমালে ৩-৪ দিন আর হিমায়িত অবস্থায় ২-৩ মাসের বেশি রাখা উচিত নয়।
কাঁচা মুরগির মাংস ফ্রিজের নরমালে ১-২ দিন রাখা যায়, তাও আবার ৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার চেয়ে বেশি তাপমাত্রায়।
আর ডিপ ফ্রিজে এটি শূন্য ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার বেশি ঠান্ডা তাপমাত্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে রাখা যেতে পারে।
সসেজ
কাঁচা অবস্থায় সসেজ ২ দিনের মধ্যে খাওয়া উচিত। আর ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করলেও তা এক সপ্তাহের মধ্যে খাওয়া উচিত।
প্যাকেট খোলার ৩-৫ দিনের মধ্যেই হট ডগস খাওয়া উচিত বলে পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। হিমায়িত অবস্থায় ফ্রিজে এক থেকে দুই মাস রাখতে পারবেন।
ডিম
ডিম এক মাস পর্যন্ত কাঁচা অবস্থায় ফ্রিজের নরমালে রাখা যায়। তবে সেদ্ধ করা ডিম এক সপ্তাহের বেশি ফ্রিজে রাখলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয়ে ওঠে ।