পেটের অন্যতম যন্ত্রণাদায়ক একটি সমস্যা হল ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম (Irritable bowel syndrome – IBS). এর ফলে হয় ঘনঘন কোষ্ঠ্যকাঠিন্য নয়তো ডায়রিয়ার সমস্যা দেখা দেয়। অথবা এই দুইয়ের সমন্বয়ে ভিন্ন ধরণের পেটের সমস্যা তৈরি হয়। এমন সমস্যার ক্ষেত্রে খাবার গ্রহণে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হয় এবং বাছবিচার করে তবেই খাদ্যাভ্যাসে খাবার রাখতে হয়।

কারণ কিছু খাবার খাওয়ার পর ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোমের সমস্যা বহুলাংশে বেড়ে যায়। তবে খাদ্যাভ্যাসের কিছু নিয়ম এই সমস্যাকে কমাতে ও নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সমানভাবে কার্যকর ও উপকারী। এমন কিছু নিয়ম সম্পর্কে জানুন এই ফিচার থেকে।

১. পর্যাপ্ত পরিমাণ আঁশ সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম কমানোর জন্য।এর মাঝে দানাদার খাবার, সবজিকে প্রাধান্য দিতে হবে বেশি।

২. দানাদার খাবারের কথা বলা হলেও কিছু দানাদার খাবার থেকে প্রস্তুতকৃত খাদ্য উপাদান ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোকের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। যেমন ময়দা ও এটা থেকে তৈরি পিৎজা, পাস্তা প্রভৃতি। সেক্ষেত্রে গ্লুটেন-ফ্রি খাবার খাওয়ার দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

৩. সবজির কথা প্রথমেই বলা হয়েছে। তবে সবজির পাশাপাশি প্রচুর ফ্রেশ ফল খেতে হবে নিয়ম করে।

৪. কার্বোহাইড্রেট তথা- ভাত, ওটস, আলু, রুটি, পাস্তার মত খাবারগুলো খেতে হবে একদম হিসেব মত ও পরিমিত পরিমাণে।

৫. ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোমের ক্ষেত্রে অনেকেই ল্যাকটোস ইন্টলারেন্ট হয়ে থাকেন। এই সমস্যাটি দুধ ও দুগ্ধজাতীয় খাবারে সমস্যা অনেকখানি বেড়ে যায়। সেক্ষেত্রে গরুর দুধের বিকল্প হিসেবে আমন্ড মিল্ক, নাটস মিল্ক, ওটস মিল্ক খেতে হবে।

৬. ফ্যাট ও চিনি গ্রহণে হতে হবে বিশেষ সতর্ক। কারণ এই দুইটি উপাদানই ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোমের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। মাখন, ঘি, পনির, মাংস, তৈলাক্ত মাংস, বেক করা খাবার যথা সম্ভব এড়িয়ে যেতে হবে।

৭. সাধারণ ভেজিটেবল বা সয়াবিন তেলে থাকা আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট এই সমস্যাটি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি পুরো স্বাস্থ্যের জন্যেই ক্ষতিকর। সেক্ষেত্রে রান্নায় সানফ্লাওয়ার অয়েল, অলিভ অয়েল, অ্যাভোকাডো অয়েল ব্যবহারের চেষ্টা করতে হবে।