অ্যাপেনডিসাইটিসের সমস্যা অেনেকেই ভোগেন। কারও কারও ক্ষেত্রে এই সমস্যা এতোটাই বেড়ে যায় যে, অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন পড়ে। অ্যাপেনডিসাইটিস হলো অ্যাপেন্ডিক্সের একটি প্রদাহ, এক্ষেত্রে পেটের ডানদিকে প্রচণ্ড ব্যথা হয়।

বৃহৎ অন্ত্রের শেষে অবস্থিত অ্যাপেন্ডিক্স হলো একটি ছোট টিউব-সদৃশ গঠন, যার কোনো স্পষ্ট উদ্দেশ্য নেই। সাধারণত যে কোনো কারণে রক্ত সরবরাহে বাধার কারণে অ্যাপেন্ডিক্সে সংক্রমণ ঘটে ও প্রদাহ হয়।

অ্যাপেনডিসাইটিস কেন হয়?

অ্যাপেন্ডিসাইটিস অ্যাপেন্ডিসাইটিস লুমেন নামে পরিচিত অ্যাপেন্ডিক্সের মধ্যে একটি ব্লকেজের কারণে হয়। যখন ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস পরিপাকতন্ত্রকে সংক্রামিত করে, তখন লিম্ফ নোড ফুলে যায়।

যা অ্যাপেন্ডিক্সকে চেপে ধরে ও বাধা সৃষ্টি করে। ফলস্বরূপ অ্যাপেন্ডিক্স ফুলে যায় ও রক্ত প্রবাহ বিঘ্নিত হয়। পেটে আঘাত বা জেনেটিক কারণেও অ্যাপেন্ডিসাইটিস হতে পারে।

চিকিৎসা না করা হলে অ্যাপেন্ডিক্স ফেটে যেতে পারে, ফলে বড় জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই একবার এই রোগ ধরা পড়লে যথাযথ চিকিৎসা নিতে হবে, না হলে বিপদে পড়তে পারেন।

অনেক সময়ে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকেও এই রোগ হতে পারে। সাধারণত ১০-৩৫ বছরের মধ্যে অ্যাপেন্ডিসাইটিস বেশি দেখা যায়। এর পরে বয়স যত বাড়বে, অ্যাপেন্ডিক্স আরও ছোট হয়ে শুকিয়ে যায়।

তাই অ্যাপেনডিসাইটিস নিয়ে সতর্ক হওয়া অ্যাপেনডিসাইটিসের রোগীদের উচিত এই রোগ শনাক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা। চলুন জেনে নেওয়া যাক, অ্যাপেনডিসাইটিস হলে কোন খাবারগুলো খাবেন আর কোনগুলো নয়?

ভাজাপোড়া খাবার

ডুবো তেলে ভাজা কোনো খাবার খাবেন না অ্যাপেনডিসাইটিসের রোগীরা। এ ধরনের খাবার অ্যাপেনডিসাইটিসের ব্যথা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।

চিনি

কৃত্রিম চিনিজাতীয় খাবার ডায়রিয়াকে ট্রিগার করতে পারে ও অ্যাপেনডিসাইটিসকে আরও খারাপ করে তুলতে পারে। এজন্য মিষ্টি ও চকোলেট জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন ও খাদ্যতালিকায় চিনির পরিমাণ কমিয়ে দিন।

চর্বিযুক্ত খাবার

চর্বিযুক্ত খাবার হজম করা খুব কঠিন। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চর্বিযুক্ত খাবার ও মাংস এড়িয়ে চলুন। চর্বিযুক্ত খাবার অ্যাপেনডিসাইটিসের জন্য খারাপ হতে পারে।

অ্যালকোহল

অ্যাপেনডিসাইটিসের রোগীদের জন্য মদ্যপান বন্ধ করা অত্যন্ত জরুরি। পেটে অ্যাপেনডিক্স নিয়েও যদি মদ্যপান করেন, তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে থাকে।