চুল ভাল রাখার জন্য নিয়মিত চুলের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। না হলে বিভিন্ন কারণেই চুল খারাপ হতে থাকে।
প্রত্যেকের চুল এক রকম নয় এবং বিভিন্ন চুলের ধরন অনুযায়ী আলাদা আলাদা উপায়ে যত্ন নেয়া প্রয়োজন। অতএব, সঠিক চুলের যত্নের জন্য আপনাকে প্রথমে চুলের ধরন জানতে হবে, তারপর নিয়মিত পরিচর্যা করে আপনার চুলকে নিরাপদে রাখতে পারেন।
চলুন জেনে নেই চুলের ধরণ অনুযায়ী যত্নের নিয়ম।
তৈলাক্ত চুলের যত্ন
তৈলাক্ত চুল খুব তাড়াতাড়ি চটচটে হয়ে যায়, যা আবার সহজে স্টাইল সেট করা যায় না। এই ধরণের চুলের যত্ন করা একটু কঠিন এবং বিশেষ যত্ন নিতে হয়। তৈলাক্ত চুল ধোয়ার জন্য হালকা শ্যাম্পু ব্যবহারের পাশাপাশি প্রতিদিন চুল ধোয়া গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া মাথার ত্বকে শ্যাম্পু খুব বেশি ব্যবহার করা উচিৎ না। চুল তৈলাক্ত হলে প্রথমে গরম তেল দিয়ে মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করে তারপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। চুল খুব তৈলাক্ত হলে কন্ডিশনার ব্যবহার না করাই ভালো।
শুষ্ক চুলের যত্ন
অতিরিক্ত সূর্যালোক এবং ঘামের কারণে চুল শুষ্ক হয়ে যায়। এ ছাড়া অতিরিক্ত স্টহাইল করলেও চুলের প্রাকৃতিক তেলের ক্ষতি করে, যার কারণে চুল শুষ্ক হয়ে যায়। এই ধরনের চুলে প্রতিদিন শ্যাম্পু করা এড়িয়ে চলুন এবং উচ্চ প্রোটিনযুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। শ্যাম্পু করার পর প্রতিবার কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এটি চুলকে নরম ও চকচকে করে তুলবে।
কোঁকড়ানো চুল
কোঁকড়ানো চুল দেখতে ভাল লাগে। কিন্তু যাঁদের মাথায় থাকে, সারা বছর তাঁদের ভুগতে হয় চুল শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সমস্যায়। কোঁকড়ানো চুল হলে অ্যালকোহল এবং সালফেটবিহীন প্রসাধনী ব্যবহার করা উচিৎ। কারণ, এই দু’টি যৌগ মাথার ত্বক থেকে স্বাভাবিক তেল শুষে নেয়। ফলে চুল অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়ে। তাই শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার নির্বাচন করার সময়ে সতর্ক থাকতে হবে। অতিরিক্ত তাপ দিয়ে চুল সোজা বা স্টাইল না করাই ভালো।
ঢেউখেলানো চুল
কোঁকড়ানো চুল এবং সোজা চুলের মাঝামাঝি একটি পর্যায়ের মধ্যে পড়ে এই ঢেউখেলানো চুল। ঢেউখেলানো চুলের উপরিভাগ তৈলাক্ত হলেও চুলের ডগার দিক কিন্তু বেশ শুষ্ক হয়। তাই এই অংশের যত্ন নেওয়া বিশেষ ভাবে প্রয়োজন। না হলে ডগা ফাটার সমস্যা রোধ করা যাবে না। ঢেউখেলানো চুলের যত্নে মাইল্ড শ্যাম্পু, চুলের তলার দিকে কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারলে শুষ্ক হওয়ার সমস্যা অনেকটাই ঠেকিয়ে রাখা যায়। জট ছাড়াতে মোটা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
সোজা চুল
কোঁকড়ানো বা ঢেউখেলানো চুলের মতো এতটা শুষ্ক না হলেও বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকলে সোজা চুলও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। এই ধরনের চুলে শুষ্কতা রোধ করতে শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনারের পাশাপাশি ব্যবহার করতে হবে সিরাম।