এমএমএ-ভিত্তিক পণ্য উৎপাদনে সক্ষমতা বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করবে বিজিএমইএ ও তাইওয়ান টেক্সটাইল রিসার্চ ইনস্টিটিউট। শনিবার (৪ মে) তাইওয়ানের তাইপে এ লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে দুই প্রতিষ্ঠান।
বিজিএমইএ সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্পের পণ্য উন্নয়নে, বিশেষ করে ম্যানমেইড ফাইবারভিত্তিক (এফএফএ) উচ্চমানের পণ্য উৎপাদনে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এবং তাইওয়ান টেক্সটাইল রিসার্চ ইনস্টিটিউট (টিটিআরআই) একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে।
প্রযুক্তি অভিযোজন, দক্ষতা উন্নয়ন, উদ্ভাবন, সম্পদ ব্যবহারে দক্ষতা এবং সার্কুলারিটি প্রভৃতি ক্ষেত্রে জ্ঞান এবং দক্ষতা শেয়ার করার মাধ্যমে শিল্পের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা দেওয়াই এ সমঝোতা স্মারকের মূল লক্ষ্য।
সমঝোতার আরেকটি উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের নন-কটন টেক্সটাইল, হাই অ্যান্ড পোশাক পণ্য, টেকনিক্যাল টেক্সটাইল, ওভেন টেক্সটাইল ও পোশাক, দক্ষতা উন্নয়ন এবং উদ্ভাবন প্রভৃতি ক্ষেত্রগুলোতে তাইওয়ান থেকে বাংলাদেশে সরাসরি বিনিয়োগ আনয়ন বা যৌথ-বিনিয়োগ উৎসাহিতকরণ।
এ সমঝোতা স্মারকটি এমন এক সময়ে সই হয়েছে, যখন বিজিএমইএ কটন পণ্য থেকে নন-কটন পণ্য, বিশেষ করে ম্যান-মেইড ফাইবারভিত্তিক পণ্যে স্থানান্তরের মাধ্যমে বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের উচ্চতর প্রবৃদ্ধির রূপকল্প বাস্তবায়নের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিজিএমইএ’র পরিচালক আসিফ আশরাফ এবং টিটিআরআই-এর সহ-সভাপতি শেং-ফু চু নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে সই করেন। তাইওয়ানের তাইপে অনুষ্ঠিত সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ’র পরিচালক ফয়সাল সামাদ ও পরিচালক আবদুল্লাহ হিল রাকিব এবং তাইওয়ান টেক্সটাইল ফেডারেশনের সভাপতি জাস্টিন হুয়াং।
সমঝোতা স্মারক অনুসারে, তাইওয়ানের কোম্পানিগুলোও এর অধীনে তাদের দক্ষতা এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞান বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে শেয়ার করার জন্য কাজ করবে। এটি পণ্যের উন্নয়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করতে এবং ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়ানোর জন্য শিল্প ও একাডেমিয়ার মধ্যে সংযোগ গড়ে তুলতেও সহযোগিতা করবে।
তাইওয়ান টেক্সটাইল ফেডারেশন ও তাইওয়ান টেক্সটাইল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সমন্বিত সহযোগিতা এ ক্ষেত্রে সহায়তা করবে। বাংলাদেশি পোশাক কোম্পানিগুলোকে তাইওয়ানের কোম্পানিগুলোর শক্তি সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। এ গবেষণা উদ্যোগে বিজিএমইএ এবং সেন্টার অব ইনোভেশন, এফিশিয়েন্সি অ্যান্ড অকুপেশনাল সেফটি অ্যান্ড হেলথ (সিইআইওএসএইচ), বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অংশীজন (স্টেকহোল্ডার) হতে পারে।
তাইওয়ান টেক্সটাইল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রায় ১০০ জন গবেষক সেই ছত্রের অধীনে কাজ করছেন, যারা বাংলাদেশের পোশাকশিল্পকে ভবিষ্যত প্রয়োজনগুলো অনুধাবনে সহায়তা এবং সেই সঙ্গে পণ্যের উন্নয়ন ও অন্যান্য ক্ষেত্রে শিল্পের সক্ষমতা ও সামর্থ্য বৃদ্ধির জন্য পরবর্তী ১৫ বছরের জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করতে পারেন।