বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার এন্ডোসকপি পরীক্ষার ফল সন্তোষজনক হয়নি বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের একজন চিকিৎসক। পরীক্ষার ফল অনুযায়ী তার চিকিৎসায় সাময়িক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

গত ২৯ এপ্রিল স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন বিএনপি চেয়ারপারসন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। অসুস্থতা বাড়লে মাঝেমধ্যে তাকে হাসপাতালে নিতে হয়। বর্তমানে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে।

খালেদা জিয়া বাসায় ফিরতে পারবেন কিনা তা নির্ধারণ করতে বুধবার সন্ধ্যায় বৈঠকে বসে মেডিকেল বোর্ড। বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বাসায় ফিরতে পারবেন বিএনপি নেত্রী।

মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য জানান, খালেদা জিয়ার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে বুধবার সন্ধ্যায় বাসায় ফেরার কথা থাকলেও খালেদা জিয়া এতে সায় দেননি।

ওই সদস্য বলেন, খালেদা জিয়ার মাল্টিপল এডভান্স ডিজিজ সেন্টারে চিকিৎসা জরুরি। এখন মাঝেমধ্যে ব্লিডিং হচ্ছে। মস্তিষ্কে একটি টিউব লাগানো প্রয়োজন। যা দেশে সম্ভব নয়।

খালেদা জিয়ার এন্ডোসকপির রেজাল্ট সন্তোষজনক আসেনি। রেজাল্ট অনুয়ায়ী সাময়িক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ওষুধের পরিবর্তনসহ আরও কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান বিএনপি চেয়ারপারসন। করোনা মহামারি শুরুর পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ শর্তসাপেক্ষে বিএনপিপ্রধানের সাজা স্থগতি করে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। এ পর্যন্ত ছয় দফায় খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

৭৭ বছর বয়সী বিএনপি চেয়ারপারসন শর্তসাপেক্ষ কারাগার থেকে ছাড়া পাওয়ার পর বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সাহাবুদ্দিন তালুকাদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ড তার চিকিৎসা তদারক করছে।