এমনিতে ঢেকুর তোলা মোটেও অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু যখন তখন বার বার সবার সামনে জোরসে আওয়াজ করে ঢেকুর তুললে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। অনেকে আবার ঘাবড়ে গিয়েও ঢেকুর তুলতে শুরু করে দেন। তবে অনবরত ঢেকুর মরণরোগের লক্ষণ হতে পারে, এটা অনেকেই জানেন না।

ফ্লোরিডার নার্স বেলি ম্যাকব্রিনের ঢেকুর কিছুতেই থামছিল না। চিকিৎসকের কাছে গিয়ে জানতে পারেন, তিনি কোলন ক্যানসারের তৃতীয় পর্যায় রয়েছেন। ২৪ বছর বয়সি বেলির দিনে প্রায় ১০ বার করে ঢেকুর উঠতে শুরু করে। এই ধরনের উপসর্গ আগে কখনও দেখেননি তিনি। মাসের পর মাস এই উপসর্গ দেখেও খুব বেশি গুরুত্ব দেননি বেলি। বদহজম ও পেটে তীব্র যন্ত্রণা শুরু হলে তিনি চিকিৎসকের পরামর্শ নেন। যদিও ঢেকুরের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক নেই, তবে কোলন ক্যানসার শরীরে বাসা বাঁধলে পরিপাক ক্রিয়ায় গোলমাল হয়। গ্যাস হয়, সেই থেকেই ঘন ঘন ঢেকুর ওঠে।

ষাটোর্ধ্বদের মধ্যে এই অসুখের ঝুঁকি হলেও ইদানিং খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম, শারীরিক কসরতের জন্য সময়ের অভাব, বাড়তি ওজন, ঘরে বানানো টাটকা খাবারের পরিবর্তে প্রক্রিয়াজাত খাবারদাবার খাওয়া ও অতিরিক্ত মানসিক চাপ— এ সব কারণে অল্প বয়স থেকেই কোলোরেক্টাল ক্যানসার হানা দিচ্ছে মানুষের শরীরে। প্রাথমিক উপসর্গ দেখা গেলেই ঘরোয়া টোটকার উপর ভরসা না করে এক জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

কোন কোন উপসর্গ দেখলে সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে?

>> তলপেটে দীর্ঘদিন ধরে ব্যথা এই রোগের উপসর্গ হতে পারে।

>> কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত হলে অন্ত্র থেকে রক্তপাত হয়, তাই রক্তাল্পতা তৈরি হওয়ার প্রবল আশঙ্কা থাকে। রক্তাল্পতা ডেকে আনে ক্লান্তি।

>> দিনে কত বার মলত্যাগের প্রয়োজন অনুভূত হয়, আচমকা তার তারতম্য ঘটলে সেটি কোলন ক্যানসারের অন্যতম লক্ষণ হতে পারে।

>> মলের রং পরিবর্তন হলে, পেটে গ্যাসের সমস্যা কিছুতেই না কমলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

>> সারাক্ষণ বমি বমি ভাব, গা গুলিয়ে ওঠা, ওজন কমে যাওয়াও কোলন ক্যানসারের উপসর্গ হতে পারে।